কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

সম্মানিত পাঠক কালোজিরার অনেক গুণ রয়েছে। এবং কালোজিরা কে বিজ্ঞানীদের মতে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে আসে। এবং বলা হয়ে থাকে কালোজিরা নাকি মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস


আপনি যদি কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান।তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন কারণ এটি ভালোভাবে না জানলে। আপনি কালোজিরা কোন গুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন না এবং নিয়ম কি তা সম্পর্ক জানতে পারবেন না তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

তো সম্মানিত পাঠ ক আপনারা যারা কালোজিরা জিবি খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস সম্পর্কে যা জানতে চাচ্ছেন । তাদের জন্য আর্টিকেলটি আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে কথা বলব। কালোজিরা অনেক গুণ রয়েছে কালো ছেলেকে আবার প্রাকৃতিক মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। এটির ব্যবহার সেই আদিম যুগ থেকে হয়ে আসছে। এবং এর পাশাপাশি আমরা আরো জানবো সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়। আমরা এ বিষয়গুলো যদি ভালোভাবে না জানি তাহলে আমাদের কোন উপকারে আসবে না কালোজিরা। এবং আমরা আরো জানবো কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস সম্পর্কে । আলোচনা শুরু করা যাক

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। আপনি যদি নিয়ম মেনে কালোজিরা চিবিয়ে খান তাহলে আপনার শরীরের অনেক রোগের নিরাময় হবে এবং এটা আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কালো জিরা খেয়ে বলা হয়ে থাকে প্রাকৃতিক মহৌষধ।

এবং এই কালোজিরার উপকারের কথা আমাদের প্রিয় নবী হযরত সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনিও এই কালোজিরার গুণ সম্বন্ধে বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন তোমরা কালোজিরা নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। এবং হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাঃ কালোজিরার সাম ছাড়া সব রোগের ঔষধ তো আমি বললাম সাম কি তখন তিনি জবাবে বললেন মৃত্যু (বুখারি, হাদিস : ৫৬৮৭) 

এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই কালোজিরার ব্যবহার নানা রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে আসছে। কালোজিরার মধ্যে রয়েছে জাদুকর নিরাময় ক্ষমতা। কালোজিরা নানা রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে আসে তার মধ্যে অন্যতম যেমন কোর্ড এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, ডাস্ট এলার্জি, ক্রনিক সর্দি ঠান্ডা, এলার্জিক রায়নাইটিস, এজমা, ব্রংকাইটিস সহ নানা রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে আসে এই কালিজিরা। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত কালোজিরা চিবিয়ে খান। তাহলে তারা দারুন ফলাফল পাবেন।

এবং এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের হজম থেকে মুক্তি দিতে পারে কালোজিরার কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে পারে। কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এক্টিভিটি এবং এই কালোজিরার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

কারণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম ফ্রি রেড কালার হাত থেকে রক্ষা করে এবং এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টের নাম গুলো হচ্ছে থাইমা কুইন, ফর টারপিয়ন, ট‌্যানেথলএবং কারভাক্রল রয়েছে এই কালোজিরা। এবং কালোজিরা হচ্ছে এন্টিবায়োটি ক অথবা অ্যান্টিসেপটিক। এবং কালোজিরা নিয়মিত চিচিবিয়ে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

কারণ এগুলো আমাদের ডায়াবেটিসের মতন রোগ থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করে। এবং ক্যান্সার ও স্থুলতা থেকেও বাঁচায় এই কালোজিরা। আর কালোজিরা রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার মতন ক্ষমতা কারন কালোজিরা রয়েছে। এন্টি ক্যান্সার অ্যাক্টিভিটি যেটি আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম ।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্কিন ক্যান্সার, বেস্ট ক্যান্সার, লাং ক্যান্সার,সাভর্াাকিাল ক্যান্সার, প্রোটেস্ট ক্যান্সার, হাত থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচিয়ে রাখে কালোজিরা।

এবং নিয়ম মেনে কালোজিরা চিবিয়ে খেলে আমাদের রক্তের কোলেস্টেরল কমে থাকে। বিশেষ করে ক্ষতিকর রক্ত কোলেস্টর কমানোর মধ্যে কমায় এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এবং উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএল রক্তে বাড়ায় । ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপের মতন সমস্যা থেকেও বাঁচাতে পারে ।এই কালোজিরা এবং স্ট্রোক ও হার্ট এটাকের ঝুঁকিও কমে।

এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এই কালোজিরা। এই কালোজিরা আমাদের শরীরের কোন ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করে তাহলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এবং দেহকে প্রস্তুত করে তুলবে স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে এই কালোজিরা। আপনি যদি কালোজিরার ভর্তা করে খান।

তাহলে আপনার হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্টের জনিত সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। এবং কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে লিভারকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় এই কালোজিরা। এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তের সুগার কমিয়ে থাকে ।এই কালোজিরা। এবং এ কালোজিরা যদি আপনি শিশুদেরকে খাওয়ান । তাহলে এদের মানসিক বিকাশ ঘটবে।

এবং আপনি যদি পরিমাণ অনুযায়ী কালোজিরা চিবিয়ে খান। তাহলে আপনার প্রসাব পরিষ্কার রাখবে। এবং আপনি চাইলে এক চিমটি কালোজিরা নিয়ে এর সাথে এক গ্লাস পানি মিশিয়ে খালি পেটে সেবন করেন ।

তাহলে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এবং আপনি চাইলে রং চায়ের সাথে মিশে দৈনন্দিন দুইবার খেতে পারেন এতে করে আপনার উপকার হবে।আর তার সাথে যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারী কারণ এই সমস্যা দূর করে থাকে কালোজিরা।

সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয় - কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

কালোজিরা অনেকগুণ রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে এটির ব্যবহার নানা রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে আসে কালোজিরা। এবং এই কালোজিরাকে বলা হয় মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ।আমাদের শরীরের নানা উপকারে আসে এই কালোজিরা আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ।

এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে । এবং বাতের সমস্যা থাকলে এটি আপনার  বাতের সমস্যা দূর করে দেবে। এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখবে ও রক্ত কোলেস্টেরল ঠিক থাকবে। এবং হৃদরোগ জনিত সমস্যার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে ।

এখন আপনার যদি বদহজম সমস্যা হয়ে থাকে।তাহলে আপনি কালোজিরা খেতে পারেন। আপনি চাইলে কালোজিরা ভালোভাবে ভেজে এরপরে পাঠায় পিসে গুঁড়ো করার পর। প্রত্যেকদিন সকালে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারে।

তাহলে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এবং সর্দি-কাশির জন্য আরাম পেতে সকালে খালি পেটে মধুর সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে একসঙ্গে খেতে পারেন তাতে অল্প দিনের মধ্যেই আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। এবং আপনি যদি কালোজিরার তেল দুই থেকে তিন দিন কালোজিরার তেল একটা চামচ খান তাহলে আপনার মাথাব্যথা সরাতে বেশ কাজে আসবে।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

কালোজিরা কে বলা হয় প্রাকৃতিক মহা ওষুধ। এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে এবং আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে কালোজিরা। এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই কালোজিরার ব্যবহার নানা রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে আসছে ।এবং বর্তমান সময়েও বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করেছে।

এ কালোজিরা। প্রথমে বলে রাখি কালোজিরার মধ্যে রয়েছে এন্ট্রি মাইক্রোয়াল আর এর কাজ হচ্ছে শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। অর্থাৎ শরীরের সহজে সংক্রামক রোগ অথবা ছোয়াচে রোগ হতে আমাদের কে বাঁচায়।এবং আয়েশা (রা) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে বলতে শুনেছেন এই কালোজিরা সাম ছাড়া সব রোগের ঔষধ ।

আমি বললাম সাম কি তিনি বললেন মৃত‌্যু। কালোজিরা আমাদের অনেক উপকারে আসে এটি বড় বড় রোগেরও নিরাময় করে থাকে। এবং ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমরা যুদ্ধে অভিযানে বের হলাম এবং আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবযার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনায় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন।

তাকে দেখাশোনা করতে আসেন ইবনে আবী আতিক। তিনি আমাদের বললেন ।তোমরা এই কালোজিরার সঙ্গে রেখো। এ থেকে পাঁচটি অথবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে খাবে। এরপরে তন্মধ্যে জাইতুনের কয়েক ফোটা তেল নাকের এদিক ওদিকের ছিদ্রপথে ফোঁটা ফুটা করে ঢুকিয়ে দিবে।

এবং কালোজিরার মধ্যে রয়েছে এন্টি ক্যান্সার অ্যাক্টিভিটি যেটির মাধ্যমে আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করবে। এবং কালোজিরাতে রয়েছে এমন ক্ষমতা যেটি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম।

এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এবং কালোজিরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  • আপনার যদি পেট খারাপের মতো সমস্যা থাকে। তাহলে সামান্য কালেজেরা ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে । প্রত্যেকদিন সকালে আট চা চামচ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। তাহলে এটি আপনি যদি টানা সাত দিন ধরে খান। তাহলে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা হচ্ছে একটি অন্যতম ঔষধ। কালোজিরা তেলের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস কিংবা রং চায়ের সাথে দিনে তিনবার মিশিয়ে খান ।তাহলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে ।এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে ।এবং এটি মেধা বিকাশের জন্য খুবই কার্যকর কারণ কালোজিরা নিজেই হচ্ছে একটি অ্যান্টিবায়োটিক অথবা অ্যান্টিসেপটিক। যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।এবং স্মরণশক্তির বিরুদ্ধে বাড়িয়ে থাকে।
  • এবং জ্বর সমস্যা থাকলে। আপনি চাইলে সকালে এবং সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে কালোজিরা তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন ।তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার জ্বর সেরে যাবে।
  • এবং এ কালোজিরার আরো একটি গুণ রয়েছে সে হচ্ছে।  নারী এবং পুষের যোন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই কালোজিরা।
  • এবং যেসব মায়েদের বুকে শিশুর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ থাকে না। তাদের জন্য এই কালোজিরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ১০ গ্রাম কালোজিরা গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন। এবং এর ফলাফল এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
  • এবং আপনার ভেতরে গ্যাসের সমস্যা থাকলে। কালো ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ক্যাশ টা অনেকাংশই কমে যাবে ।এটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক কাপ দুধ এবং একটা চামচ কালোজিরা তেল একসঙ্গে ভালোভাবে মেশিনোর পর এটি পান করবেন ।তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

FAQ (প্রশ্নের উত্তর)

প্রশ্নঃ কালোজিরার ইংরেজি নাম কি?

উত্তরঃ আমরা অনেকেই আছি যারা জানতে চাই কালিজিরার ইংরেজির নাম কি । কালোজিরা এমন একটি খাবার যেটি আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কালিজিরার ইংরেজি নাম হলো Black Caraway এবং Black Cumin ।

প্রশ্নঃ কালোজিরা ও কালোজিরা তেল কি একই?

উত্তরঃ কালোজিরা ও কালোজিরা তেল উপাদানগত দিক থেকে প্রায় একই রকম। কালোজিরা তেলের মধ্যে মানবদেহের জন্য ১০০ টিরও বেশি উপকারী উপাদান রয়েছে। কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয় যেটিকে আমরা কালোজিরা তেল বলে থাকি কালোজিরা তেলও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

প্রশ্নঃ কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হবে

উত্তরঃ আমরা অনেকেই মনে করি যে কালোজিরা খেলে গ্যাস হতে পারে। যাদের অনেক বেশি গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রায় সব ধরনের খাবারেই গ্যাস হতে পারে। এটি আমাদের ভুল ধারণা যে কালোজিরা খেলে আমাদের গ্যাস হবে বরং কালোজিরা খেলে আমাদের পেটের গ্যাস দূর হয় এবং কালোজিরা খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

প্রশ্নঃ কালোজিরা কি কি রোগের ঔষধ?

উত্তরঃ আরও অনেকেই জানতে চাই যে কালিজিরা কি কি রোগের ঔষধ এ সম্পর্কে। কালোজিরা এমন একটি খাবার যেটি মানব দেহের জন্য ১০০ টিরও বেশি উপকারী উপাদান রয়েছে। কালোজিরা যে যে রোগের ওষুধ যেমন এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, জন্ডিস, আলসা, পেট ফাঁপা, গ্যাসস্টিক, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং ডায়বেটিসহ আরো ইত্যাদি রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ কালোজিরা খেলে কি ওজন কমে?

উত্তরঃ আমাদের অনেকেরই মনের প্রশ্ন আসে যে কালোজিরা খেলে কি ওজন কমে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রদের মতে কালোজিরায় অনেক ধরনের স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এবং এটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে পাশাপাশি এটি মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কালোজিরায় এটি হল একটি উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার এবং খাবারের কালোজিরা মিশিয়ে খেলে সেটি আপনার পেটে দীর্ঘক্ষন খাবারের তৃপ্তি রেখে দেবে যার কারণে আমাদের পেটে খিদা কম লাগে। তাই বিশেষজ্ঞ যারা বলেন যারা ওজন কমাতে চান তাদের কালোজিরার তেল খেতে।

শেষ কথাঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

প্রিয় পাঠক আশা করি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং কালোজিরা খাওয়ার বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান সময়টি নষ্ট হয়নি এবং আপনার ভালো লেগেছে। আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার বিন্দু পরিমাণ উপকার হলেও আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার সুন্দর মন্তব্য জানিয়ে যাবেন এবং আমাদের এই পোস্টটি আপনার আশেপাশে বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url