আলকুশি বীজ পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আলকুশি বীজের ছবি

এবং আমাদের শরীরের জন্য অর্থাৎ আমাদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন এবং আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য এবং আমাদের সুখ দুখ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ডোপামিন প্রয়োজন হয়ে থাকে ।তাই আলকুশি বীজের পাউডার খাবার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে আলকশির ব্যবহার

বিজ্ঞানীদের মতে আলকুশি বীজ খাওয়ার ফলে রক্তের শূকরের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ও ইনসুলের প্রভাব অনুকরণ করতেও সহায়তা করে । কারণ এতে থাকা ডি চিরো ইনসিডল একটি প্রধান রয়েছে।

ক্যান্সার রোধ করার জন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন আলখুশি বীজ এর পাউডার খেতে পারেন। এবং এটি খাবার ফলে আপনার শরীরে ক্যাটালজের বৃদ্ধি করে যেটির ফলে ফ্রি রেডিক্যাল এবংএন্টিঅক্সিডেন্ট এর হাত থেকে কোষ রক্ষকা করে ।

এই আলকুশি শিকড়ের এক চামচ রস খাওয়ার ফলে আমাশয় রোগ নিরাময় করে এটি টানা একমাস খেলে। এর ভালো ফলাফল পাবেন। এবং শিকড়ের ক্রাশ খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি জ্বরের মতন সমস্যা ভালো করতে সহায়তা করে।ও মণ্ডু মুত্র যন্ত্রের রোগ নিরাময়ের বেশ কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে।

আলকুশি প্রাচীনকাল থেকে মানুষের ব্যবহার করে আসছে। আলকুশির বীজ গাছ একটি ঔষধি গাছ ।এর আবার একটি বৈজ্ঞানিক নামও রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নামটি হচ্ছে(Macuna Pruriens)। এবং এই আলকুশির বীজ পাউডার বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে পরিচিত ।আলকুশি  বীজ এটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাহলে চলন এই আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা নিচের আলোক থেকে বিস্তারিত জেনে নেই...

ক্যান্সার প্রতিরোধ ঃকরতে সাহায্য করে। এই আলকুশি বীজ পাউডার বিশেষজ্ঞরা বলেন ।এটি খাওয়ার ফলে ক্যাটালজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবং ফ্রি রেডিক্যাল এর সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর আঘাত থেকে কোষগুলোকে রক্ষা করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ করে গবেষণায় দেখা গিয়েছে আলকুশি বীজ এর পাউডারে রয়েছে ডি চিরো ইনসিডল যেটির কাজ হচ্ছে। সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এবং এটি ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতেও পারে। এই উদ্ভিদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যেটি ফ্রি রেডিক্যাল থেকে তৈরি ক্ষতিকর পদার্থ থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করে। এবং এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার থেকেও বাঁচিয়ে থাকে।

স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে আলকুশির বীজ পাউডার

বিশেষজ্ঞদের মতে আলকুশি নাকি স্ট্রেস কমাতে ও সহায়তা করে থাকে। এবং এটি শরীরের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা ২০২৪

যৌন স্বাস্থ্য রক্ষা করে এই আলকুশি বীজ পাউডার এটির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এবং এটি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেও সক্ষম। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সক্ষম রয়েছে ।এবং আপনি যদি চান আপনার বীর্য ঘন করতে। তাহলে আপনি চাইলে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে আল-কুশির পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে হবে এবং এটি খাওয়ার ফলে টেস্টস্টরেন বৃদ্ধি পায় এবংশুক্রানুর সংখ্যাও বেড়ে যায় এবং এর ফলে প্রজনন ক্ষমতাও বেড়ে যায়।

আলকুশি যেমন উপকারিতাও রয়েছে আবার অন্যদিকে এর অপকারিতাও রয়েছে। অত্যাধিক মাত্রায় এটি খেলে এল-ডোপা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবং এটি হওয়ার ফলে হ্যালুসিনেশন সিজোফ্রেনিয়া বিভ্রান্তি এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।এবং বমি বমি ভাব এর পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সব জিনিসের যেমন ভালো দিকে রয়েছে আবার অপরদিকে এর পার্শ্বপ্রতিকরাও রয়েছে ।এটি মূলত হয় আমরা নিয়মিত না মানার কারণে। আলকুশি বীজে রয়েছে ট্যানিন ও ফেনল রয়েছে যেটি সেবন করার আগেই অবশ্যই এটি বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া ভালো। আজকে আমরা জানবো আলকুশি বীজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি।  তাহলে চলুন আমরা এ বিষয়ে নিজের আলোকটি থেকে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিন...

যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের আল-কুশি খাওয়া উচিত নয় । কারণ এর মধ্যে রয়েছে লেভোডোপা সিরাম যেটির লিভারের রোগকে আরো প্রভাবিত হতে পারে।

যাদের অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের চিকিৎসা চলছে তাদের জন্য আল-কুশি বীজ খাওয়া একেবারে উচিত নয়। এবং এর সাথে যাদের নিউরোপ্যাথি সাইকোসিস চিকিৎসা চলছে। তাদেরও এই আল-কুশি বীজ খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুনঃ কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক

অত্যাধিক পরিমাণে আল-কুশি খাবার ফলে এল-ডোপা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এর ফলে হ্যালুসিনেশন ফলস্বরূপ সিজোফ্রেনিয়ার বিভ্রান্তি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

(During Pregnancy) অর্থাৎ যারা গর্ভাবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য এই আলকুশি খাওয়া উচিত না। এটার কারণ হলো আলকুশি বীজের জরায়ু উদ্দীপক প্রভাব রয়েছে। এবং এটি হওয়ার কারণে জরায়ু ফেটে যেতে পারে এবং রক্তপাত হতে পারে।

এবং অতিরিক্ত আলকুশি বীজ খাবার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।

আলকুশি গাছের ছবি

আমরা নিচের আলোটি থেকে এবার দেখব এই আলকুশি গাছের ছবিগুলি এটি দেখতে কেমন হয়। এবং এটি দেখতে সিমের বীজের মতো এবং এটির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। নানা রোগের ওষুধ হিসাবে তাহলে চলুন নিচের ছবিগুলো দেখিনি...

আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত মনের প্রশ্নটিই জানতে পেরেছেন । এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর । আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন । তাহলে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের জানিয়ে যাবেন । এবং এই সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ফলো করতে পারেন ধন্যবাদ ।