অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি - শীতে ঠোঁট ফাটার প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালই আছেন আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন অতিরিক্ত ঠোট পাঠার কারণ কি- শীতে ঠোঁট ফাটার প্রতিকার সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে আজকের এই পোস্টে আপনার জন্য আশা করি পোস্টে আপনারা পুরো পড়বেন।
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনি পুরোপুরি পড়ুন আশা করি আজকের এই আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ। আমরা যত সম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে ঠোঁট ফাটার কারণ সম্পর্কে জানানোর জন্য এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানানোর জন্য। তাই পাঠক আপনি আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়বেন আশা করি।
অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি
অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি। শীতকাল মানেই সকলেই ঠোঁট ফাটা সমস্যা পা ফাটা হঠাৎ সমস্যা আরও ইত্যাদি মানুষের তো রুক্ষ হয়ে যায় এবং এর সঙ্গে আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যায় আবার অনেকেরই ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরিয়ে আসে বের হয় আপনারা কি জানেন অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি শীতকাল হলো ঠান্ডা সময় শীতের সময় আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় আবার এদিকে ঠোঁটের আদ্রতা ও কমে যায় এ কারণে আমাদের ঠোঁট শুঁকে গিয়ে ফেটে যায় অনেকেরই আবার শুকনো ঠোঁট লাল হয়ে গিয়ে তার ওপর চুলকানি শুরু হয় শীতকালে রুক্ষ ঠান্ডা আবহাওয়া ঠোট ফেটে যাওয়ার অন্যতম কারণ এবং আরো একটি কারণ রয়েছে যেমন করা সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ ঢাকায় এলার্জি থাইরয়েডের ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবে আমাদের সকলেরই ঠোঁট ফেটে যায় । আবার আমাদের অনেকেরই ঠোঁট কামড়ানোর মতো অভ্যাস থাকার কারণে আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে বা লিপস্টিক লিপজেল আপনার ঠোঁট সহ্য না করতে পেরে চুলকানি হয়ে ওঠে এবং ঠোঁট ফেটে যায়. এ সম্পর্কে আমাদের নিচে প্রতিবাদ দেয়া হলো
শীতে ঠোঁট ফাটার প্রতিকার
শীতে ঠোঁট ফাটা এবং তার প্রতিকার কি । শীতে আবহাওয়া অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে ঘাম কম হয়। এবং আমাদের শরীরে যে ঘাম বের হয় । সেগুলো বেরোনোর কারণে আমাদের শরীরে একটি তৈলাক্ত সিবাম বের হয় এটি মোমের রসের মত এই সিবাম শরীর থেকে নির্গত হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে আদ্রতা বজায় রাখে।
এবং এটি আমাদের শরীর ফাটা থেকেও রক্ষা করে। শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে ঘাম কম বের হয় এর ফলে শরীরে একটি খসখসে আবরণ পড়ে তারপর সেখান থেকে ফাটা শুরু করে। শীত মানেই ঠোঁট পা ফাটা এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। শীতকালে প্রায় সবারই ঠোঁট ফাটে এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের ঠোঁট শীতের আদ্রতা বাড়ার কারণে যখন খসখসে হয়ে পড়ে তখন আমাদের ঠোঁট নড়াচড়ার কারণে ঠোঁটে চামড়ার সাথে চাপ লাগার ফলে ঠোঁট ফেটে যায় এবং রক্ত বের হয়।
এই ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে আপনি কিছু উপায়ে কাজে লাগাতে পারেন যেমন
- আপনি যদি আপনার ঠোঁট জিহ্বা দিয়ে ভেজান তাহলে আপনি একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস। কারণ ঠোঁটের সাথে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটি ভেজান তাহলে আপনি যতবার এটি করবেন তত বেশি আপনার ঠোট সূক্ষ্ম হয়ে পড়বে।
- এবং আপনি ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে পারেন। আপনি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। আপনি যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যটি খাবেন সেটির ভিটামিন ও অন্যান্য পোস্টটি ঠোঁট তার অবস্থা অনুযায়ী সরাসরি তা গ্রহণ করবে।
- শীতকালে আপনার ঠোঁটফাটা বন্ধ করার জন্য আপনি আপনি বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। পানি পান করলে যা হয় ঠোঁট ভেতর থেকে হাইড্রেট থাকে।
- আপনি আপনার ঠোঁট ফেটা বন্ধ করার জন্য ঠোঁট ম্যাসেজ করতে পারেন এটি করলে যা হয় ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আপনি পুষ্টিকর তেল দিয়ে আপনার ঠোঁটটি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি মিনিট মাসাজ করতে হবে।
- শীতকালীন সময়ে আপনি সবসময় আপনার সঙ্গে একটি ভালো মানের লিপবাম রাখতে পারেন। তাহলে হবে কি সত্যি শুকিয়ে গেলে আপনি তার ঠোঁটে মাখতে পারবেন। এবং ছোট্টটি শুকিয়ে যেতে থেকে বাঁচাবেন।
আপনি এই টিপস গুলো সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে আপনার ঠোট ফাটার সমস্যা থেকেআপনি মুক্তি পাবেন। এবং উপরের এই টিপসগুলো খেয়াল করার পরও যদি প্রতিকার না পান তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন।
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে। শীতে ঠান্ডা আবহাওয়া অল্প আদ্রতা কারণে নারীদের ও পুরুষের উভয়েই সবারই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে পড়ে। এবং এই ঠোঁট সুস্থ থাকার পর কথা বলার সময় ঠোঁটে চাপ পড়ার কারণে ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে শীতের আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বলে এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে ঠোট এবং শরীরে প্রভাব ফেলে।
তবে বিশেষজ্ঞরা ফাটার কারণ ভিটামিন কে আখ্যা দিয়েছে ভিটামিন বি এর অভাবে মূলত ঠোঁট ফাটে। আবার ভিটামিন B9 ভিটামিন B2 ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন B12 এগুলো অভাবের কারণে মূলত ঠোঁট
ফেটে থাকে। আবার ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফেটে থাকে আপনার যদি ঠোঁট ফাটে তাহলে আপনার ভিটামিন খাবার খাওয়া দরকার যেমন ভিটামিন সি আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি এগুলো খেতে পারেন।
ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায়
এই শীতের সময় প্রায় অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যায় শীতের শুষ্কতায় আমাদের শরীর এর আদ্রতা কমে যায়। আবার আমাদের অনেকেরই ঠোঁট ফাঁটার সাথে সাথে ঠোঁটে চুলকানি হওয়ার কারণে সেখানে আমরা চুলকাতে চুলকাতে সেই জায়গার মাংস তুলে ফেলি এর ফলে পরবর্তীতে ওই জায়গায় ঘা হয় তাই বলি প্রথমে আপনাদেরকে ঠোঁটে চুলকানো বন্ধ করতে হবে না হলে এর কারণে আপনার ঠোঁটে মাংস ক্ষয় হবে।
ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় রয়েছে। যেমন আপনি প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে আপনার ঠোঁটে ধুয়ে নিতে পারেন। আবার আপনি বাদামের তেলের মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করতে পারবেন। আপনি বাদামে তেল প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে আপনার ঠোঁটে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
এরকম করলে আপনার ঠোটে কালচে ভাব হালকা হয়ে যাবে এবং আপনার মরা ঠোঁটের চামড়া দূর হয়ে যাবে। আবার এক টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ি ভালোভাবে পেস্ট করে তার মধ্যে এক টেবিল চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে এটার মাধ্যমে আপনি আপনার ঠোঁটের কালচে ভাবটা দূর করতে পারবেন।
ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার উপায়
শীতের সময় অনেকেরই শরীর শুষ্কতা হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের অনেক অংশ ফেটে যায় তার মধ্যে ঠোঁট অন্যতম। আমাদের ঠোঁট বা শরীরের শুষ্কতা রোধ করতে হবে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করা উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
মধু
আপনি যদি ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করতে চান তাহলে তার মধ্যে মধু অন্যতম। মধু ঠোঁটের শুষ্কতা নিরাময়ের অনেক সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন যদি মধু আপনার ঠোটের উপরে 10 থেকে 15 মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট হওয়ার পর তা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এতে আপনার ঠোঁটের আদ্রতা বজায় থাকবে এবং শুষ্কতা দূর হবে।
নারিকেল তেল
ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে নারকেল তেল অনেক উপকারী। নারিকেল তেলের ভিতরে আদ্রতা ধরে রাখার মতন উপাদান রয়েছে যা আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা দূরের সাথে সাথে ঠোঁট নরম ও মসৃণ করবে। এমন কি আপনার ঠোঁটের ফাটা সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সাহায্য করবে।
প্রাকৃতিক ঘি
ভি এর মাধ্যমে ও আপনি আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে পারবেন। এটি সবচেয়ে সহজ উপায় করা হয়। এ পদ্ধতি আপনি দিনে প্রায় ৪ ঘন্টা পর পর আপনার ঠোঁটের উপর ব্যবহার করুন এতে আপনার ঠোঁটের রুক্ষতা খুব দ্রুত দূর হবে এবং ঠোঁট নরম হবে। আবার আপনার ঠোঁট ফাটার কারণে মুখ ঠোঁটের লালচে দাগ গুলো পড়ে থাকে সেগুলো দূর হবে।
গ্লিসারিন
ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করার জন্য গ্লিসারিন একটি অন্যতম উপায়। আপনি যদি এটি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আপনার ঠোঁটে ম্যাসাজ করেন। তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটার কোন চান্সই থাকবে না। এবং কি আপনি কয়েকদিন এটা ব্যবহার করার পরে আপনার ঠোঁটের ভিতর কিছু পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
চিনির স্ক্রাব
চিনিস স্ক্রাব আপনার অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া ঠোঁটে শুষ্কতা দূর করে। এটি সম্পূর্ণ আপনার বাসার জিনিস বানাতে পারবেন আপনি একটি বাড়িতে মধু নিন এবং ওই বাটিতে কয়েক চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিন এবং ভালোভাবে সেগুলো মিশ্রিত করুন। রাত্রের দিকে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগিয়ে মেসেজ করুন ৫-১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন এরপর অল্প একটু আপনার ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এটি আপনার সপ্তাহে একদিন করলেই হবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে ঠোট ফাটার সম্পর্কে জানাতেন। প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার করে ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এবং এ সমস্যাটি যদি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে হয়ে থাকে তাহলে আমাদের এই পোস্টটি তাদের কাছে শেয়ার করবেন আশা করি। আজকে আর নয় পোষ্টটি পুরোপুরি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url