২০২৪ সালের রোজা কত তারিখে-রোজার ঈদ কত তারিখে


আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক আপনি কি ২০২৪ সালে রোজা কত তারিখে এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত। এবং ২০২৪ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে সে সম্পর্কে জানতে চান। এই পোস্টটি আপনার জন্য এই পোষ্টের ভিতর আমরা রোজার তারিখ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি। এবং ঈদুল আযহা কত তারিখে তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তাই অতি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন কেননা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সাথে শেয়ার করব যে রোজা এবং রোজার ঈদ গুলি এবং তার সাথে ঈদুল আযহা সম্পর্কে।।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আগামী বছরগুলোতে কোন দিন কত তারিখে ঈদ এবং রোজা টা বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

ভূমিকা 

আপনার মত এমন অনেকেই রয়েছে যারা জানতে চায় আগামী বছর কোন ঈদ কত তারিখে হবে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে তুলে ধরার। আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ২০২৪ সালের রোজা এবং ঈদুল ফিতর ও কুরবানী ঈদ সম্পর্কে। আর আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ঈদুল ফিতর কেন পালন করা হয় এবং রোজার মাসের আমল কি এসব বিষয়ে।

এবং আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আগামী ২০২৪ সাল থেকে হইতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। আপনি যদি এসব বিষয়ে জানতে আগ্রহ নিয়ে থাকেন। তাহলে মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

২০২৪ সালের রোজা কত তারিখে ও ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে

পবিত্র রমজান মাস হল মহা আনন্দের দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন। অনেক ত্যাগ তিতখ্যার পর শুরীরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এবং সকল মুসল্লীরা আগামী বছরে রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা শুরু করেন। এ মাহে রমজানের সকল মুসলিমরা সূর্যাস্ত ওঠার আগে সেহেরী করেন এবং সূর্যাস্ত ডোবার পর মাগরিবে সময় তারা ইফতার করে। 
এবারে ২০২৪ সালে রোজা মহাকাশ গবেষণা ও জ্যোতিষ বিষয়ক সংস্থা আমিরাত অ্যাস্ট্রনমি সোসাইটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে আমিরাত মধ্যপ্রাচ্য দেশ রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৩ শে মার্চ এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছিল তেইশে এপ্রিল। বাংলাদেশ এ হয়েছিল ২৪ শে মার্চ রোজা শুরু হয়েছিল আর ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৪শে এপ্রিল।

ঈদুল ফিতর কেন পালন করা হয়

ঈদুল ফিতর হলো মুসলমানদের একটি বিশেষ দিন। এটি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব একটি উৎসব। যেই দিনে সকলে মিলে সকলেই একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন এবং কোলাকুলি করেন। সকলে এক মাস রোজা করার পর রমজানের শেষে আসে আমাদের এই ঈদুল ফিতর। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে হওয়ার পর ইমামের খুতবা প্রদান করা অত্যন্ত শুভ।

 ঈদুল ফিতরের দিন সকলে নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে খেজুর খোরমা কিংবা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে নামাজ পড়ার জন্য রওনা দেওয়া পণ্যের কাজ বলে গণ্য করা হয়। মুসলিম গনেরা তার ভুল ত্রুটি থেকে শুধরানোর জন্য ঈদুল ফিতরের দিন সকল গরিব মানুষদেরকে দান খয়রাত করে। 

এই দিনে সকলে একসঙ্গে ঈদুল ফিতর উৎসব মিলেমিশে পালন করে। এই দিন শত্রুও বন্ধ হয়ে যায় হিংসা বিভেদ সবকিছু কেটে যায়। ঈদুল ফিতর মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ উৎসব।

রমজান মাসের আমল

আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে রমজান মাসের আমল কি রহমত বরকত মাগফেরাত এবং নাজাতের মাসি হলো রমজান মাস। এ মাসটি মুমিনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাসে নবীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এ মাসে বিশেষ চারটি আমল কর পার বিনিময়ে তোমরা সুখবর পাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা রমজান মাস কি এই চারটি বিশেষ আমল ও জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে কাটাবে। 
মহানবী (সাঃ) নির্দেশনা অনুযায়ী এই চারটি বিশেষ আমল পালন করতে বলেছেন তার মধ্যে মহান আল্লাহর জন্য দুইটি এবং নিজের জন্য দুইটি। রমজান মাসের রোজাদারদের ইবাদতের একটি বসন্ত কালের পরিণত হবে। হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ‘হে লোক সকল’ অবশ্যই তোমাদের সামনে মহান মাস, বরকতময় মাস উপস্থিত।

এ মাসে তোমরা সকলে চারটি আমল বেশি বেশি করে করবে তার মধ্যে দুটি মহান আল্লাহর জন্য এবং দুটি নিজের জন্য।

আল্লাহর জন্য দুটি আমল ঃ
  • কালেমার তসবি সর্বোত্তম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা।
  • আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা।
  • নিজেদের জন্য দুটি আমল ঃ
  • আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা

আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
আপনার আরো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। এবং রমজান মাসের প্রতিদিন তাহাজ্জত নামাজ আদায় করুন এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া মাগফিরাত ও জিকির করুন।

২০২৫ সালের রোজা ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির বা ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে।

আপনি য আগামী বছরগুলোতে কোন ঈদ কত তারিখে হবে এটা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। ২০২৫ সালে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি তে পবিত্র রমজান মাস। যেহেতু চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই তারিখ পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক বছর গুলোতে 10 থেকে 11 দিন চাঁদের জন্য এগিয়ে থাকে। তার তারিখ পরিবর্তন হয়। 
পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের২৮ শে মার্চ কিংবা ২৯ শে মার্চ এটা চাঁদ দেখার উপর পুরো নির্ভর করে। এবং ২০২৫ সালে ঈদুল আযহা হতে যাচ্ছে ৬ জুন বা ৭ জুন কিংবা ৮ই জুন। এগুলো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সরকারি ছুটির তালিকা কোরবানি ঈদ বা ঈদুল আযহা তে পড়ে। এই পবিত্র জিলহাদ মাসে মুসলিমরা পশু কুরবানী দিয়ে থাকে।

২০২৬ সালের রোজায় ঈদ পা ঈদুল ফিতর এবং কুরবানী ঈদ বা ঈদ উল আযহা কত তারিখে হবে।

২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রোজা এবং ঈদুল ফিতর সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী পরে ২০মার্চ অথবা ২২ মার্চ । এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই এ তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন আগে চাঁদ উঠলে পরের দিন ঈদুল ফিতর পালিত হবে। পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে ২০/২১ ফেব্রুয়ারি। 

আর ২০২৬ সালের ঈদুল আযহা সরকারি ছুটি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পালিত হচ্ছে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৬ শে মে ঈদুল আযহা পালন করবেন সকল মুসল্লীরা। এই জিলহজ্জ মাসে পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে ঈদুল আযহা পালন করা হয়।

২০২৭সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর ও কুরবানী ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে জানুন

২০২৭ সাল এর প্রথম রোজা সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 7 ফেব্রুয়ারি রবিবার। আর পবিত্র ঈদুল ফিতর 27 মার্চ কিংবা ৮ই মার্চ। যেহেতু এগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন আগে চাঁদ উঠলে পরের দিন ঈদুল ফিতর পালিত হবে। সিয়াম সাধনার পর ২০২৭ সালে ৭ কিংবা ৮ই মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।

২০২৭ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কুরবানী ঈদ বা ঈদুল আযহা জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে পালন করা হবে। আর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৭ সালের ১১ই মে ঈদুল আযহা পালন করা হতে পারে। এটা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে পরবর্তীতে পরিবর্তন হতে পারে।

২০২৮ সালের রোজা ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং কোরবানি ঈদ বা ঈদুল আযহা কত তারিখে

২০২৮ সালে ক্যালেন্ডার সরকারি ছুটি তালিকা অনুযায়ী প্রথম রোজা এবং ঈদুল ফিতর হতে পারে ২৪ শে ফেব্রুয়ারী কিংবা ২৫ শে ফেব্রুয়ারি। যেহেতু চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই এই তিন দিন এর মধ্যে যেকোনো 3 একদিন আগে চাঁদ উঠলে পরের দিন ঈদুল ফিতর পালিত হবে।

২০২৮ সালে কুরবানি ঈদ বা ঈদুল আযহা হচ্ছে সরকারি ক্যালেন্ডার ছুটির তালিকা অনুযায়ী কুরবানী ঈদ বায়তুল আজহা হতে পারে ৫ই মে বা ৬ মে অথবা ৭ই মে। এর কারণ যেহেতু চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই এই তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একটি দিন চাঁদ দেখা গেলে তারপর দিন কোরবানি ঈদ বা ঈদুল আযহা পালিত হবে।

২০২৯ সালের রোজা বা ঈদুল ফিতর ও কুরবানী ঈদ বা ঈদ উল আযহা কত তারিখে

সম্মানিত পাঠকগণ ২০২৯ সালের রোজা ঈদ বা ঈদুল ফিতর ক্যালেন্ডার সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রথম রোজা হতে যাচ্ছে ১২ই ফেব্রুয়ারি অথবা ১৩ই ফেব্রুয়ারি কেননা চাঁদ দেখা উপরে নির্ভর করে তাই কোন দিন চাঁদ দেখা গেলে তার পরের দিন ঈদুল ফিতরপালোন করা হবে। 


ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৯ সালের কুরবানি বা ঈদুল আযহা হতে পারে 27 শে এপ্রিল অথবা ২৮ শে এপ্রিল কিংবা ২৯ শে এপ্রিল। যেহেতু এগুলো ঈদের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই তিনদিনের মধ্যে যেকোনো একদিন একটি ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ কথাঃ ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখে-২০২৪ সালের রোজার ঈদ কবে

প্রিয় পাঠকগণ এতক্ষণে আপনি হয়তো এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ করেছেন ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখে কত তারিখে আর ঈদুল আযহা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এবং আপনি থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে তাই এমন আর্টিকেল আরো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। আজ এইটুকুনি আবার অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন টপিকে আসবো এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url