ইনফেকশন হলে কি করনীয় - মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আমাদের আজকের এই আটিকেলে ইনফেকশন হলে কি করনীয় ও মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এবং আপনারা যদি এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের এই আটিকেলটি আপনার জন‌্য।
ইনফেকশন হলে কি করনীয় - মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ

আপনারা অনেকেই ইনফেকশন হলে কি করনীয় ও মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের আজকের এই আটিকেলের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন। 

ইনশাল্লাহ এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগবে এবং এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। চলুন আর বেশি দেরি না করে ইনফেকশন হলে কি করনীয় ও মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ কী এর সম্পর্কে জানা যাক।

ইনফেকশন হলে কি করনীয়?

বর্তমান যুগে নারী ও পুরুষ আমরা অনেকেই এই ইউরিন ইনফেকশনের জ্বালাপোড়া ও মূত্রের স্থানে ব্যথা অনুভব করা, কিংবা শরীরে মূত্র বের না হতে পারা এই ইউরিন ইনফেকশন রোগের সমস্যায় ভুগছি। এবং আপনারা অনেকেই এই ইনফেকশনের রোগ নিয়ে খুব চিহ্নিত। গরম কালে আমাদের এই ইউরিন ইনফেশন রোগের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। 

এবং আমাদের মূত্রতন্ত্রের মধ্যে আছে একটি মূত্রনালী ও একটি মূত্রথলি কিংবা ব্লাডার, দুইটি ইউরেটার, দুইটি কিডনি। ইনফেকশন হলে কি করনীয় যেমন: আমাদেরকে সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে। এবং আমাদেরকে ঝাল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। বাজার কিংবা কোন দোকানের ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না। 
এবং আপনার প্রসাবের ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে, এবং আপনারা ফল জাতীয় খাবার খেতে পারেন কিংবা তার জুস করেও খেতে পারেন যেমন: আনারস, বেদেনা, কমলা, আপেল, ডাবের পানি, তরমুজ, আঙুর, মালটা ইত্যাদি। এসব খাবার খেলে আপনার প্রস্রাবে ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে অনেক সাহায্য করে। 

এবং গ্লুকোজ কিংবা এস এম সি ওর স্যালাইন খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং এতে আপনার পানি শূন্যতার ঘাটতি দূর করবে। এবং লেবুর রস কিংবা লেবুর পানি খেলেও আপনার প্রস্রাবের ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মোকাবেলা করে। 

এবং আমাদেরকে প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এবং আমাদের শরীরের নিচের মূত্রের গোপন স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং আমাদের মূত্রের স্থানে ভিজা ভিজা ভাব কিংবা ঘেমে থাকে তার জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়া আমাদের মূত্রের ছিদ্রস্থানে প্রবেশ করে। 

এতে আমাদের ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এবং আপনারা সঠিক সময়ে একজন ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন। আশা করি ইনফেকশন হলে কি করণীয় তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

মূত্রথলির ইনফেকশন কেন হয়?

মূত্রথলির ইনফেকশন কেন হয় এবং কি কারনে হয় তা আমাদের অনেকেরই মনের ভিতরে এই প্রশ্ন আছে। এবং আপনারা মূত্রথলির ইনফেকশন এর বিষয় নিয়ে কি খুব চিহ্নিত। মূত্রথলিতে ইনফেকশন যে কারণে হয় যেমন: প্রতিদিন নিয়মিত গোসল না করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকা, এবং শরীরের নিচে মুত্রের গপন স্থানে পরিস্কার না রাখা। 

পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করা, বাহিরের অতিরিক্ত ভাজা পোড়া খাওয়া, প্রচুর পরিমানে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া, শরীরে প্রস্রাব আটকে রাখা ইত‌্যাদি। মূলত এগুলোতে মূত্রথলিতে ইউরিন ইনফেকশন হয়।

মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ?

আমাদের অনেকেরই পরিচিত এই ইউরিন ইনফেকশন। এবং নারী ও পুরুষ আমরা অনেকেই এই ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগছি। এবং এই ইউরিন ইনফেকশন রোগ হলে আমাদের প্রস্রাব করার সময় মুত্রের রাস্তায় প্রচুর জ্বালাপোড়া করে, এবং বারবার কিংবা খুব ঘন ঘন প্রস্রাব চাপে। এবং মূত্রথলিতে ব্যথা অনুভব করে। 
এবং মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ কি কি যেমন: খুব ঘনঘন কিংবা বারবার প্রস্রাব করা, প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের রাস্তায় খুব জ্বালাপোড়া করা ও ব্যথা অনুভব করা, এবং প্রস্রাবের সঙ্গে এক দুই ফুট করে রক্ত পড়া, খাবার গন্ধ লাগা, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া না করা, তলপেটে কিংবা মাজায় ব্যথা করা, এবং শরীরে বমি বমি ভাব করা, শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসা, শরীরে শীত লাগা। 

ও শরীর থর থর করে কাঁপা, প্রস্রাবের বেগ না চাপাতে পেরে বিছানায় প্রস্রাব করা, সারাদিনে একবারও প্রস্রাব না হওয়া, এবং শরীরে শক্তি না পাওয়া কিংবা শরীর ক্লান্ত হাওয়া ইত্যাদি। এইসব মূত্রথলিতে ইনফেকশন হওয়ার লক্ষণ। আশা করি মূত্রথলির ইনফেকশন এর লক্ষণ কি কি তা আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না?

ইউরিনারি ট্র‌্যাক্ট ইনফেকশনকে আমরা সংক্ষেপে বলে থাকি ইউরিন ইনফেকশন। এবং ইউরিন ইনফেকশন কথা কিংবা শব্দটিকে ছোট হলেও এটি আমাদের নারী ও পুরুষ সকলেই ইউরিন ইনফেকশন রোগে ভুগছি। এবং প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না। 

যেমন: চিনি যুক্ত খাবার চা কফি খাওয়া যাবেনা, বাইরের কোন তেলের ভাজাপোড়া খাবার খাবেন না, মাছ মাংসের তরকারিতে অতিরিক্ত ঝাল কিংবা ঝাল জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না, কোন ক্রিম জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না, অ্যালকোহল কিংবা মদ্যপান করা যাবে না ইত্যাদি। 

যতদিন আপনার প্রস্রাবের ইউরিন ইনফেকশন না ভালো হচ্ছে ততো দিন আপনি এগুলো খাবার খাবেন না। এতে করে আপনার ইউরিন ইনফেকশন দূর হবে। আশা করি প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি কি খাওয়া যাবে না তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি হয়?

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি হয়। প্রসাবে ইনফেকশন হলে সাধারণত আমাদের খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো করতে না পারা এবং খাওয়া দাওয়া করার সময় খাবারে গন্ধ লাগা। তলপেটে কিংবা কোমরে ব্যথা অথবা যন্ত্রণা অনুভব করা, সারাক্ষন বমি বমি ভাব করা কিংবা বমি করে ফেলা। 
শরীরে বার বার কিংবা ঘন ঘন জ্বর আসা, প্রস্রাব করার সময়ে জালাপোড়া করা কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে এক দুই ফট করে রক্ত যাওয়া ও প্রসাব পুরোপুরি করতে না পারা। এবং শরীরে শীত লাগা, শরীরের ভিতরে কেপে কেপে উঠা, ঘন ঘন প্রস্রাব চাপা। এবং আগের থেকে ও অনেক বেশি প্রস্রাবের বেগ বাড়া ইত‌্যাদি। আশা করি প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি হয় তা সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ ইনফেকশন হলে কি করনীয় ও মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আমাদের আজকের এই আটিকেলে আপনাদেরকে ইনফেকশন হলে কি করনীয় ও মূত্রথলির ইনফেকশন লক্ষণ এর সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। আপনারা যদি আমাদের আজকের এই আটিকেলের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারেন। 

ইনশাল্লাহ তাহলে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগবে এবং এই পোস্টটি পড়ে আপনি খুব উপকৃত হবেন। তো আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে আমাদের আজকের এই আটিকেলের পোস্টটি সেয়ার করুন এবং আপনি আপনার মূল‌্যবান মন্তব‌্যটি আমাদের কমেন্ট বক্সে এসে জানিয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url