নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

সম্মানিত পাঠক আপনি কি চিন্তিত আপনার স্কিন পাঙ্গাস অথবা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা। অথবা আপনি নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ টকিং নিয়ে কথা বলেছি। যেটা জানার ফলে আপনার অনেক উপকারে আসবে।
নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি এই আজকের আর্টিকেলটি যেতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি নিম পাতার উপকারিতা অ্যালার্জি এবং নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা কি। এ সকল বিষয়ে আপনার চিন্তামুক্ত হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জাননা যাক

ভূমিকাঃ নিম পাতার উপকারিতা অ্যালার্জি এবং নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার ফলে আপনি নিম উপকারিতা ওপাতার উপকারিতা কি এবং নিম পাতার উপকারিতার এলার্জি এ বিষয়ে জানতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আমরা আপনার শরীরের এলার্জি এবং পেটে বদহজম সমস্যা গুলো দূর করে ফেলতে পারবেন তা নিয়ে কথা বলেছি।

এবং আজকের এই আর্টিকেল দিয়ে আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় তা বিষয়ে জানতে পারবেন আর জানতে পারবেন নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়। এবং নিম পাতার বৈশিষ্ট্য কি এ সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন তো চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতাই অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। এটি প্রাচীনকাল থেকে মানুষের নানান রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতা ব্যবহার করা ফলে শরীর অনেক উপকারিতা হয়। নিম পাতা হজম শক্তির অনেক কাজে আসে এটি গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে থাকে। নিমপাতা যে শুধু উপকারিতা রয়েছে তা নয়। কিছু প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

কিন্তু এটি আপনি সঠিকভাবে পালন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। নিমপাতা যে গাছের ডাল রয়েছে ও শিকড়ের ছাল এটি শরীরের বিভিন্ন জীবানুর ধ্বংস করার কাজে বিশেষ ব্যবহার করা । 

এবং এই গাছের ছালকে শরীরের বেদনা হিসেবে আর ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি প্রতিদিন নিম পাতা খেলে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করবে এবং হাঁচি কাশি কমাতে সাহায্য করবে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

প্রিয় ভিউয়ার আপনি কি চিন্তিত খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় তা জানতে আগ্রহী অথবা আপনি কি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খান। তাহলে এই আজকের আর্টিকেলটি আপনি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের এই আর্টিকেল আমরা খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে কথা বলব।
এবংআপনি জানতে পারবেন নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন কারণ ভুল নিয়ম পাতার রস খেলে আপনার উপকারের বদলে তার উল্টোটি হবে। আমরা এই আর্টিকেলে কথা বলেছি নিমপাতা কখন খাবেন এবং কতটুকু খাবেন এই বিষয়ে।খালি আপনি বেশি উপকার পাবেন এই বিষয়ে। আচ্ছা তার আগে আমরা জেনে নি নিমপাতা কি রয়েছে ।

ভিটামিন ও খনিজের ভান্ডার এবং নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এছাড়াও রয়েছে আন্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল আর রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ যেটি আমাদের শরীরের প্রবেশ করলে ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে।

এবং ছোটখাটো রোগ আক্রমণ করতে পারেনা।আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ৫ হাজার বছর থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে এটি মানুষের নানা রকম রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে।
  • খালি পেটে নিম পাতা খেলে পেটের গ্যাসটিকের সমস্যা ভালো করতে সাহায্য করে এবং পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া আর পেটের খারাপ কৃমি গুলো দূর করে থাকে।
  • এবং যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা পাঁচটি গোলমরিচ আর এর সঙ্গে দশটি নিমপাতা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। অথবা এটি ভালোভাবে বেটে নিন। এবং এটি যদি আপনি সেবন করেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
  • আপনার স্কিনে যে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে যেমন চর্ম রোগের কিংবা দাউদ এগুলো সমস্যা হয়ে থাকলে। নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কয়েকটি নিম পাতা নেওয়ার পর এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এবং নিম পাতা গুলি ভালোভাবে রস বের করে নেবেন। এরপর আপনি এটি খালি পেটে খেতে পারেন। আপনি নিম পাতা রসের দুই থেকে তিন চামচ প্রতিদিন খালি পেটে খান। এটি আপনি যদি এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার স্কিনের সমস্যা অনেক অংশে ভালো হয়ে যাবে।
  • এবং খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়িতে সাহায্য করবে। এবং নিম পাতা পেটের সমস্যা দূর করে থাকে। যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতা খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন কারণ নিম পাতা পেটের ভিতর অনেক ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং এর উপস্থিতি নানা ব্যাধি উপকারী । এই নিম পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই পাকস্থলী যেসব খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো রয়েছে সেটি দূর করে থাকে।
  • এবং এটি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া ফলে রক্তের থাকা লে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলি ধ্বংস করতে সাহায্য করে। রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এবং শহরে যে টক্সিক উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো শরীর থেকে বের করে ফেলে এবং এর কারণে ত্বক সৌন্দর্য হয় এবং ত্বক এর ইনফেকশন হওয়া আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।

নিম পাতাও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

বর্তমানে ত্বক ভালো রাখতে সবলাই চায়। এবং নিজেকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে ত্বকের যত্ন নিয়মিত করা উচিত। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার করতে পারেন কারণ এগুলোতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। হলুদ এটি আমরা কম বেশি সবাই চিনে থাকি কারণ এটি রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
কিন্তু এই হলুদটি শুধু রান্নার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় না এটি প্রাচীনকাল থেকে নানা রকম চিকিৎসা জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ভালো কার্যকরী। এবং হলুদ মুখের ব্রণ দূর করার জন্য অনেক উপকারী। এবং নিমপাতা আমাদের শরীরের ঘামাচি সহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় করে থাকে।

এটি একটি শক্তিশালী জীবানুন নাশক উদ্ভিদ। নিচের আলোকে আমরা কয়েকটি ধাপে হলুদ এবং নিম পাতা বিষয় নিজে উল্লেখ করা হলো
  • মুখের ব্রণ কমানোর জন্য আপনাকে আর কোন বাড়িতে দুশ্চিন্তা করা লাগবে না কারণ মুখের বোন দূর করার জন্য আপনি কয়েকটি নিম পাতা এটি পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং কাঁচা চার টুকরা নিন হলুদ এবং এই দুটিকে একসাথে বেটে নিন এর পর একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেজটি আপনার মুখে ভালোভাবে মাসাজ করুন এবং তারপর এটি আপনার মুখের বিশ মিনিট পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
  • এবং আপনি কাঁচা হলুদ বেটে নিন এবং এর সঙ্গে নিম পাতার রস এবং মুলতানি যদি আপনার ড্রাই হয় তাহলে আপনি মুলতানি মাটির বদলে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।মাটি এ দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন ।এরপর দেখবেন একটি পেস্ট তৈরি হয়েছে এই পেজটি আপনার মুখে ভালোভাবে মাসাজ করে নিন। তারপর এটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এটি ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন এটি আপনি নিয়মিত করার ফলে আপনার মুখে ব্রণ উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
  • রোদে পোড়া দাগ গুলো দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ। নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার ফলে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনাকে প্রথমে নিম পাতা বেটে নিতে হবে এরপর এক চা চামচ নিম ও কাঁচা হলুদ বাটা একটা চামচ এবং এর সঙ্গে মূলধারী মাটি এক টেবিল চামচ আর লেবুর রস ভালোভাবে মিক্সানোর পর। এটি আপনার রোদাপোড়া ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন এবং এটি ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর এটি ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আপনার রোদে পোড়া দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে।

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি

এলার্জির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এলার্জিতে ভুগেন অনেকেই এলার্জি কি যন্ত্রনা শুধু সেই বুঝে যার এই সমস্যা রয়েছে। এলার্জি মানে যে শুধু চুলকানি তা কিন্তু নয় এলার্জি হাঁচি কাশি এবং হাঁপানি কেউ বলে। এলার্জি হওয়ার কারণে খাদ্য অভ্যাস হচ্ছে পরিবর্তন হয়। যেমন গরুর দুধ, ডি্‌ বাদাম, ইলি্‌ চিংড়ি, বোয়াল, কুমড়া, কচু ও গরুর মাংস ইত্যাদি।

এই এলার্জি হওয়ার কারণে অনেকের চোখ লাল হতে পারে এবং চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। আর শরীরে চুলকানি হতে পারে তার সাথে চাকা হয়ে লাল হয়। হাঁপানি ও নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হাতির সমস্যা হয় এলার্জির কারণে এবং এর থেকে চর্মরোগ হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধান বের করা যায় আপনি নিম পাতার মিশ্রণ তৈরি করে একমাস ব্যবহার করুন।তাহলে এই এলার্জি থেকে আপনার চির বিদায় হয়ে যাবে।
  • প্রথমে আপনাকে এক কেজি নিমপাতা নিতে হবে এবং এটিকে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিমপাতা কে পাঠায় অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি কাঁচের পাত্রে রেখে দিন।
  • এরপর আপনি ইসবগুলের ভুষি এক চা চামচ এবং এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুরু নিন। এরপর এক গ্লাস পানিতে এটি আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধাঘন্টা হয়ে গেলে চামচ দিয়ে এটি মেনে নিন এবং এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ও দুপুরে ভরা পেটে আর রাতে শোয়ার আগে এই মিশ্রণটি খেতে পারেন। আপনি একমাস এই কাজটি করলে এলার্জি অনেকটাই কমে যাবে। 

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য

নিম পাতার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। বর্তমান বিশ্বে ও নিম পাতার কদর কমেনি এটাই বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এন্টিসেপটি হিসেবে ছত্রানাসক দূর করা হিসেবে এবং ব্যাকটেরিয়া রোদক হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। এটির বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বিনাশের কাজ করে থাকে। এটি আমাদের শরীরের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।
নিম পাতা সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ সৃষ্টি। নিমপাতা আমাদের শরীরে অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে। এবং তাদের রক্ত দূষিত রয়েছে প্রতিদিন সকালে নিম পাতা সেবন করার ফলে তাদের রক্ত পরিষ্কার করে থাকে এই নিম পাতা। এটির বৈশিষ্ট্য অনেক । এটি মুখে বলে বোঝানো যাবে না।

শেষ কথাঃ নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আমরা তুলে ধরেছি নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে এবং নিম পাতার উপকারিতার এলার্জি। আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন। নিমপাতা সেবন করার ফলে আমাদের শরীরে কত রকম প্রকার হয়ে থাকে। এবং ভুল নিয়মে নিম পাতা খাওয়ার ফলে অপকারিতা কি রয়েছে।

তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আপনার আজকের আর্টিকেলটি পছন্দ হলে। আপনার আত্মীয় স্বজন বা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিন। এবং আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাদেরকে জানিয়ে দিন। আল্লাহ হাফেজ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url