অনলাইনে ভিসা আবেদন ২০২৪ - ভিসা করতে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠক আপনি কি চিন্তিত ভিসা কিভাবে করতে হয় ?এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন কারণে কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কথা বলবো ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে । আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে একটি ভিসা তৈরি করা বিষয়ে একটি ক্লিয়ার ধারণা দেবার ।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা ভিসা কিভাবে করতে হয়?তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি
ভিসা কিভাবে করতে হয়
ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয়? আপনি কি তা নিয়ে চিন্তিত ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার বিষয়টি কি তা জানতে হবে। ভিসা হচ্ছে কোন দেশের যাওয়ার জন্য অনুমতি পত্র। আপনার কাছে ভিসা না থাকলে আপনি অন্য কোন দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে ভিসা তৈরি করে নিতে হবে।
এখন আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আমাদের ভিসার প্রয়োজন। আপনাকে শুরুতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করে নিতে হবে। যদি আপনি একজন বাংলাদেশী হয়ে থাকেন তাহলে ভিসা আবেদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভিসা ওয়েবসাইট দিয়ে বিচার জন্য সকল তথ্য পূরণ করে বিচার আবেদন ফরম পূরণ করে নিতে হবে।
সার মেয়াদ বিভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি কি কাজের জন্য অন্য দেশে যেতে চাচ্ছেন তাহলে তার উপর নির্ভর করবে ভিসার মেয়াদ আপনি করে নিতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই টিচার আবেদন করতে পারবেন না। একজন ব্যক্তি বিচার আবেদন করার জন্য তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগ্যতা অর্জন করা প্রয়োজন এবং কিছু শর্ত রয়েছে।
যেগুলো পালন করে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।তারা আপনার তার আগে আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন কাজের জন্য বিদেশে যেতে চাচ্ছেন সে বিষয়টি নির্বাচন করুন। এবং আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটি নির্ধারণ করুন । উল্লেখ করা হলো
- কাজের ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ব্যবসায়ী ভিসা
- গৃহকর্মী ভিসা
- ক্রিউ ভিসা
- এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা
- ট্রান্সসিট ভিসা
আপনি কোন কাজের জন্য বিদেশে যেতে চাচ্ছেন সেটি বেছে নেওয়া হয়ে গেলে এরপরে আপনার কে চলে যেতে হবে বাংলাদেশের সরকারি ভিসা ওয়েবসাইটে । আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে গুগলে সার্চ করতে হবে। www.visa .bd নামের ওয়্সোইট পেয়েযাবেন । এরপর এই ওয়েবসাইট প্রবেশ করার পর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করে নিতে পারবেন।
ভিসা করতে কি কি লাগে
এখন প্রশ্ন হল ভিসা কিভাবে করতে কি কি লাগে । মূলত ভিসা করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন পড়ে সেই তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে নিন । আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশের যেতে চান তাহলে পাসপোর্ট এর সাথে ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিচের আলোকে আমরা কথা বলবো ভিসা করতে কি কি লাগে তা নিয়ে
- যে ব্যক্তি ভিসা নিতে ইচ্ছুক । সে ব্যক্তির কাছে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে । এবং পাসপোর্ট অবশ্যই ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে ।
- এবং সেই ব্যক্তির পাসপোর্টে অন্তত দুইটি সাদা পাতা থাকতে হবে ।
- এবং সেই ব্যক্তির ভিসার জন্য তার পাসপোর্ট এর নাম্বার সঠিকভাবে উল্লেখ থাকা লাগবে । আর তার সাথে ভিসা আবেদনপত্রের নামটি সঠিকভাবে উল্লেখ রাখতে হবে ।
- এবং সে আবেদনকারীর বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ইউটেলিটি বিলের সাথে মিল রাখতে হবে । এবং সেই ব্যক্তির আগে থেকে তৈরি করা কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে তার মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করে নিতে হবে । এবং তা যদি ভুলবশত হারিয়ে যেয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির জিডি কপি সংযুক্ত করে রাখতে হবে ।
- এবং যে ব্যক্তি আবেদন করেছে সে ব্যক্তির কোন ধরনের পেশা অথবা কাজ করে তার বিবরণ সঠিকভাবে দিতে হবে ।
- আর তার সাথে আবেদনকারী জন্মের তারিখ ও জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে মিল রাখতে হবে ।
- এবং সেই ব্যক্তির ভিসা করার জন্য সাধারণত আবেদনপত্রের সাথে একইভাবে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে ।
- এই সকল ডকুমেন্টগুলো যদি কোন ব্যক্তির কাছে সঠিকভাবে থেকে থাকে তাহলে সে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে । এখন আপনি পর্যবেক্ষণ করুন আপনার কাছে সেই সমস্ত আবেদন করার জন্য উক্ত বিষয়গুলো রয়েছে কিনা । আপনার কাছে উপরের উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে থেকে থাকে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
ভিসা আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - অনলাইনে ভিসা আবেদন২০২৪
আপনাকে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে এ কয়েকটি জিনিস থাকা লাগবে ।প্রথমে পাসপোর্ট এবং পুরনকৃত আবেদন ফরম আর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে নির্ধারিত ফ্রি এবং ইনভাইটেশন লেটার । আর তার সাথে ব্যাংকিংসলভেন্সি আর ব্যাংকিং বিবরণী তারপরও লাগবে আপনার সম্পদের বিবরণী এটি প্রয়োজন পড়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে।
এর সঙ্গে আপনার ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো লাগবে তার সাথে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কাগজপত্র ও চাকরি ক্ষেত্রে ছুটির লেটার । এছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজ পত্র লাগতে পারে যেটা দেশ ও ভিসার উপর নির্ভর করে থাকে ।
ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি
আপনি কি চিন্তিত ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি তা নিয়ে । আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কয়েকটি স্টেপ ভালোভাবে জানলে আপনি বুঝতে পারবেন ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি তা বিষয়ে ।
- প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করা থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর বৈধতা ছয় মাসের বেশি হতে হবে ।
- এবং পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন তিনটি খালি রাখতে হবে ।
- আর ভিসা আবেদনপত্রের আবেদনকারী অবশ্যই কেন করা ছবি থাকতে হবে ।
- এবং ভিসার তৈরি করার জন্য আবেদন পত্রের পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে ।
- এবং এটি খেয়াল রাখতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ ও পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে ।
- আর আবেদন পত্রের আবেদনকারীর নাম সঠিক ভাবো উল্লেখ রাখতে হবে ।
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এই দুটি বিষয় ইউটিলিট বিলের সাথে মিল রাখতে হবে ।
- আর পেশার বিবরণ সঠিক ভাবো পূরণ করে রাখতে হবে ।
- পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ খালি রাখা যাবে না
- আবেদনকারীর জন্মের তারিখ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর আর তার সাথে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের নম্বর সঠিকভাবে রাখতে হবে ।
- আবেদনপত্র পূরণ করা হয়ে গেলে ৭থেকে ৮ দিনের মধ্যে আবেদন পত্র ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দেওয়া লাগবে ।
অনলাইনে ভিসা আবেদন ২০২৪
সাধারণভাবে ভিসা তৈরি করার পর সেই ভিসার মেয়াদ তিন মাস পর্যন্ত থাকে । এবং পরবর্তী তা ইচ্ছা করলেই বিচার সময় বৃদ্ধি করা যাতে পারে । আপনি আপনার কাঙ্খিত যে দেশে যেতে যাচ্ছেন সেই দেশের ভিসা হাতে পাওয়ার পর ভিসাতে উল্লেখ করা থাকবে যে ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকবে । অর্থাৎ আপনি যখন ভিসা আপনার হাতে পেয়ে যাবেন।
তখন ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পড়বে কিছু টাকা দেওয়ার বিনিময় ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে ।
ভিসা আবেদন পেতে কতদিন লাগে
ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে কমবেশি প্রশ্নটিয়া আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে । আপনি কি ভিসা তৈরি করতে দিয়েছেন অথবা ভিসা তৈরি করতে দিবেন বলে চিন্তা করে রয়েছেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে একটি ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। যে ভিসা হয়ে গেলে কতদিন লাগে। একেক দেশের একেক রকম সময় লাগে ভিসা পাওয়ার জন্য।
ভিসা পেতে সর্বনিম্ন কত দিন সময় লাগে। কোন দেশে এম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন তার উপর নির্ভর করে থাকবে। কেউ এক দিনে অথবা দুইদিন পরে দিয়ে দেয় আবার কেউ ভিসা দিতে ১৫-২০ দিন সময় নিতে পারে। অর্থাৎ ভিসা পেতে সময় লাগবে এটা আপনার ওপর নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে ভিসা তৈরি করতে যাচ্ছেন এবং বিচার ধরনের উপর।
মনে করুন আপনি সিঙ্গাপুরে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করলেন এবং আপনাকে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে । আবার এদিকে কেউ যদি থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে তাহলে তার তার পাঁচ থেকে সাত দিন সময় নিতে পারে। এরকম আপনি যে দেশের জন্য ভিসা আবেদন করবেন। ভেজার ধরন অনুযায়ী সময়ের পরিসীমা কম বেশি হতে পারে ।
শেষ কথাঃঅনলাইনে ভিসা আবেদন ২০২৪ - ভিসা করতে কি কি লাগে
সম্মানিত পাঠক আশাকরি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর । আপনার ভিসা তৈরি করা নিয়ে যে চিন্তা ছিল সেটি দূর হয়ে গেছে । আমরাই আজকের এই আর্টিকেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আপনার মনের চিন্তা দূর করার । আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনার কাছে এটি ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে তারাও এটি দেখে উপকৃত হতে পারে।
এবং আপনি চাইলে এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটির ফলো করতে পারেন । কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আল্লাহ হাফেজ
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url