সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে-সিগারেট খেলে কি ওযু ভাঙ্গে
প্রিয় পাঠক আসসালাম আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমাদের এই পোস্টটি আপনারা জানতে পারবেন সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে-সিগারেট খেলে কি ওযু ভাঙ্গে। আপনারা যদি সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক আমাদের সকল মুসলিম ভাইদের জানা উচিত সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে। এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আশা করি পোস্টটি আপনারা পুরোপুরি পড়বেন।
তাহলে আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা চলুন জানা যাক এই সম্পর্কে। আপনারা আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়ুন আশা করি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে এই সম্পর্কে জানানোর। তাই আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি করবেন। চলুন বিস্তারিত জানি
সিগারেট খাওয়া হারাম না হালাল
আমরা দৈনন্দিন জীবনে হয়তো অনেকেই কমবেশি জানে ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ইসলাম কখনোই সিগারেট খাওয়ার পক্ষে কথা বলে না। মদ মানুষকে নেশাগ্রস্ত এবং মাতাল করে তোলে। তার জন্য মদ খাওয়া হারাম। কিন্তু এদিকে আবার সিগারেট কোন ব্যক্তিকে মাতাল করে তোলে না বা মাতাল হওয়ার জন্য এটা খাওয়া হয় না, এতে এমন কোন বস্তু নেই যা মানুষের মস্তিষ্ক কে মাতাল করে তুলবে। তাই সিগারেট হারাম নয়। বরং সিগারেট মাকরুহ। সিগারেটের কারণে দুর্গন্ধ এবং শরীরের ক্ষতি হওয়ার কারণে এটা হারামের পর্যায়ে পড়ে।
সিগারেট খাওয়া কি হারাম
ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেট যারা খায় তারা জানে যে সিগারেট খেলে তাদের নানান জটিল রোগ পর্যন্ত হতে পারে কিন্তু তবুও তা ছাড়তে পারে না । ধূমপান থেকে মৃত্যু হতে পারে। ধূমপান করার ফলে যক্ষা ফুসফুসে ক্যান্সাসহ বিভিন্ন রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ধুমপান করার কারণে ত্বকে একদম বাহির দিক থেকে ধমনী গুলোতে রক্তের সঞ্চালন কমিয়ে দেয় এবং এর ফলে ত্বকের প্রয়োজনীয় অক্সেন পৌঁছাতে পারে না।
বিশ্বে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারা যায়। মদ মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে এ হামারা ফটো হেনা । তালুয়া কালু তোলে তাই মত হারাম সিগারেট যেহেতু ব্যক্তিকে মাতাল করে না বা মাতাল হওয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে না তেমন কোন পরিমান বস্তু নেই যে তা খাওয়ার ফলে ব্যক্তি মাতাল হয়ে পড়বে তাই সিগারেট হারাম নয়। ধূমপান করা মাকরুহ।
আল্লাহতালা কুরআনে বলেন হে মুমিনগণ এ যে মত জুয়া প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপত্রিত কার্যকরী ছাড়া কিছুই নয়। অতএব, এগুলো থেকে বাঁচতে থাকো যাতে তোমরা কল্যাণ প্রাপ্ত হও। (সূরা: মায়িদা ৯০) এবং পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ রয়েছে হে ঈমানদারগণ! যে সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস আমি তোমাদেরকে রিজিক হিসেবে দিয়েছি সেগুলো খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাকো।(সূরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)।
এই সকল উক্তি থেকে বোঝা যায় যে সিগারেট খাওয়া হারাম কাজ যে সকল খাবার খাওয়া আল্লাহ তা'আলা নিষেধ করেছেন সেই সকল খাবার খেলে হারাম হবে। এবং যে কোন ব্যক্তি যদি এই কথা ভাবে সিগারেট না খেলে তার অবস্থা খারাপ হবে। তাহলে সেই ব্যক্তিটি সেই ভাবনাটি হারাম বলে বিবেচিত হবে।
সিগারেট খেলে কি ওযু ভাঙ্গে
যেহেতু ধূমপান করা নাজায়েজ এতে অর্ধেক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও হয়। ধূমপান করার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। অযথা অবস্থায় কেউ যদি সিগারেট খায় তার কি ওযু ভেঙ্গে যাবে তা বিষয়ে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করছিতাহলে আপনি একটি ক্লিয়ার ধারণা পাবেন। আমাদের সর্বপ্রথম মনে রাখা দরকার অজু ভঙ্গের কারণ সাতটি যেগুলো হচ্ছে
- যে রাস্তা তে ময়লা আবর্জনা এবং দুর্গন্ধ দিয়ে যাওয়ার ফলে
- কারো যদি মুখের যে লালার সাথে রক্ত বের হয় তাহলে ওজু ভেঙ্গে থাকে
- ব্যক্তি যদি শুয়ে পড়ে কিংবা হেলান দিয়ে কফির ঘুমিয়ে চলে যায় তার ফলে ওযু ভেঙ্গে থাকে
- সে ব্যক্তির যদি পাগল হয় তাহলে ওযু ভেঙে যায়
- কোন ব্যক্তি যদি নেশা করে এবং মাতাল হয় তাহলে ওযু ভেঙ্গে থাকে
- কেউ যদি মাথা ঘুরে পড়ে যায় অথবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাহলে অজু ভেঙ্গে থাকে
ধুমপান করা হারাম কাজ। এই হারাম কাছে লিপ্ত পড়বেন না কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটির ফলে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হতে পারে। যেহেতু ধূমপান করার মাধ্যমে শরীরটাকে কোন নাপাক বস্তু বের হয় না পরী কিংবা পরিস্থিতি তৈরি হয় না তাই ধূমপানের কারণে ওযু ভাঙ্গে না। ধূমপানে অপরাধ আছে কিন্তু ওযু ভাঙ্গে না ।তবে সিগারেট দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। এটি সেবন করার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতি হয় এবং অর্থ ব্যয় হয় তাই ধুমপান বর্জন করা আবশ্যক।
সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত হয় না
আপনাদের সকলের মনেই এই প্রশ্ন জেগেছে যে ধূমপান করলে কি ৪০ দিন এবাদত হয় না। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। প্রথমে আপনার জানার বিষয় হচ্ছে যে ধূমপান করার ফলে ৪০ দিন এবাদত হয় কি ?না হয় না ।এই বিষয়ে এর উত্তর হচ্ছে কোরআন হাদিসে এ বিষয়ে কোনো কথা নেই ।
কিন্তু এই বিষয়ে লেখা আছে যে মদ পান করা হারাম ।এটি তিরমিজি শরীফের এক হাদিস থেকে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন মধ্যপানকারী ব্যক্তির ৪০ দিনের জন্য নামাজ কবুল হয় না। সে ব্যক্তি তওবা করলে তবেই আল্লাহ তা'আলা তাঁর তওবা কবুল করেন। এক কথায় বলা যায় যে ব্যক্তি মদ্যপান করে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ৪০ দিনের নামাজ কবুল করেন না।
সিগারেট খেলে কি দোয়া কবুল হয়?
আপনাদের হয়তো অনেকেরই মনে এসেছে যে ধূমপান করার পর দোয়া কবুল হয় কি। আপনি যদি এ বিষয়ে চিনতে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ধূমপান করলে দোয়া ৪০ দিন পর্যন্ত কবুল হবে না । কারণ বিড়ি সিগারেট জর্দা গুল ইত্যাদি নেশা দ্রব্য অন্তর্ভুক্ত সুতরাং বোঝা যায় এগুলো খেলে দোয়া কবুল হয় না। এই মর্মে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে তার ৪০ দিন নামাজ কবুল হবে না।
সিগারেট খেলে কি নামাজ কবুল হবে
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথাটি মোটামুটি আমরা সবই জানি। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানতে আগ্রহে সিগারেট খেয়ে নামাজ হবে কিনা। আজকের এই আর্টিকেলে সেই সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেছি কি যে সিগারেট খেলে নামাজ হবে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গেছে যে প্রতিবছর শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ দেওয়া। ধূমপান করার ফলে শরীরের একদম বাইরের দিক থেকে ধনী গুলোতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় ফলে ত্বকের পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে পারেনা। ধূমপান করলে নামাজ হবে না তা নয় নামাজ হবে। যে ব্যক্তি সিগারেট খায় তার নামাজ কবুল হবে। যে ব্যক্তি মদ পান করে ব্যক্তির ৪০ দিন কোন এবাদত কবুল হবে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন আমার উম্মত কেউ যদি মদ পান করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাঁর চল্লিশ দিনের ইবাদত কবুল করবেন না। সিগারেট খেয়ে নামাজ পড়াকে মাহরুহ হিসেবে ধরা হয়। মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদের প্রবেশ করা কেও মাহরুহ হিসেবে ধরা হয়। মুখে দুর্গন্ধ বস্তু যেমন পেয়াজ রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ করা রয়েছে হে ঈমানদারগণ সে সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস আমি তোমাদের রিযিক হিসেবে দিয়েছে সেগুলো খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো যদি তোমরা তার এবাদত কর (সূরা, বাকারা আয়াত১৭২)। এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতি সাধন করবেন।
(আবু দাউদ, হাদিসঃ৩৬৩৫) এর থেকে বোঝা যায় যে ধূমপান করার হারাম এবং ধূমপান করা জন্য অর্থ নষ্ট করা। এই সিগারেট খাওয়া নিয়ে আলেমদের অনেক মন্তব্য রয়েছে তবে সিগারেট খাওয়া নয় এটি হারাম। মাহরুহ হচ্ছে যেটি অপছন্দনীয় এবং হারাম হচ্ছে। যেটি নিষিদ্ধ । সিগারেট খাওয়ার উপর থেকে নিষিদ্ধ এই জন্য এটি হারাম।এই এক কথায় সিগারেট থেকে বিরত থাকা দরকার।
শেষ কথা: সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে-সিগারেট খেলে কি ওযু ভাঙ্গে
প্রিয় পাঠক গান আশা আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি পড়েছেন । এবং নিশ্চয়ই আপনারা এখন এতক্ষণে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এর সম্পর্কে। পাঠক সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না তাই আমি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে আপনি যদি মাদকের আকৃষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এখান থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার নিজের জন্য ভালো পরকালের জন্যও ভালো। আপনার যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তবে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবে এবং আপনার মাদক আকৃষ্ট বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন আজ আর নয় আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য ধন্যবাদ।।
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url