রমজান মাসের রোজার ফজিলত-রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমাদের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন রমজান মাসের রোজার ফজিলত-রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল সম্পর্কে। আপনারা যদি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আশা করি আপনারা পোস্টটি পুরোপুরি পড়বেন।

রমজান মাসের রোজার ফজিলত-রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল

আপনারা এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন ইনশাআল্লাহ আপনার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এ পোস্টটি আপনারা জানতে পারবেন রমজান অর্থ কি, রমজান মাসের গুরুত্ব, রমজান মাস কেন পালন করা হয় আরো নানা তথ্য চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।

রমজান অর্থ কি

পবিত্র আল কুরআনের রমাদানা শব্দটি মাত্র একবার এসেছে। ২ নম্বর সূরা আল বাকারা এর আয়াত ১৮৫ নম্বর। ইসলামী আরবি মাসের নাম নির্ধারণকালে যে সময়টিতে সূর্যতাপ তীব্র হয়। নামকরণ করে রাখা হয়েছে রমাজান। রমজান এই শব্দটি আরবী থেকে নেওয়া হয়েছে এটির অর্থ ধাতু রামিয়া বা আর রামম যার অর্থ হচ্ছে তাপমাত্রা কিংবা শুষ্কতা।

রমজান মাসের গুরুত্ব

রহমত বরকত মাগফেরাতের মাস হিসেবে ধরা হয় রমজান মাসকে। রমজান মাস সকল মুসলিম গনদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এটি একটি পবিত্র মাস। এই মাসে মানুষ সকল পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর দ্বীনের কাজের দিকে উৎসাহিত করে। রমজান মাসে সবাই আল্লাহর কাছে পূর্বের গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পুরো মাস আল্লাহর ইবাদত করে থাকেন। 
এ মাসে শয়তানদেরকে বন্দী করে রাখা হয়। ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর সবচেয়ে পবিত্রতম মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই রমজান মাসকে। মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাস কে শ্রেষ্ঠ মাস হিসেবে নির্ধারণ করেছেন এবং সে সময় প্রত্যেক মুমিনদের ভালো কাজের প্রতিদান বৃদ্ধি করে দেওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। 

আরবি মাসের বারোটি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র রমজান মাসটি কুরআনুল কারীমে উল্লেখ রয়েছে। যা এই মাসটির অসামান্য মজাদার বহন করছে। আমাদের সকলেরই উচিত এ মাসে সব সময় গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত করা এবং আল্লাহর আনুগত্য করা।

রমজান মাস কেন পালন করা হয়

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে পবিত্র গ্রন্থ কোরআন এর প্রথম আয়াত নাজিল হয়েছিল। এটি ১৪০০ বছর পূর্বে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে অবতীর্ণ হয়েছিল। তাই এ মাসে মুসলমানেরা ফজরের নামাজ পড়ার মাধ্যমে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করে এবং সন্ধ্যার পর রোজা ভঙ্গ করেন। এ মাসের সকলেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকেন এই মাসটি ইসলাম ধর্মাবলীর মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস যে মাসে তারা ইবাদতের মাধ্যমে কাটিয়ে থাকে।

রমজান মাসের ফরজ কয়টি

আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন আসতে পারে রমজান মাসের ফরজ কয়টি । রমজান মাসের ফরজ কি কি তা নিয়ে যদি আপনি জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। রোজার ফরজ বা রোকন হচ্ছে দুইটি যেমন
  •  রোজার জন্য নিয়ত করা
  • পানাহার এবং কাচার পরিত্যাগ করা

রোজার নিয়ত করা

রোজার নিয়ত করার জন্য নিজের মনকে সর্বপ্রথম নিজেকে প্রস্তুত করা এবং আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখা।রোজার নিয়ত হচ্ছে আল্লাহর তালার আদেশ পালন করার এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে রোজা পালন করা। রোজা রাখার জন্য অন্তরকে হৃদয় সংকল্প রাখা। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন তাদেরকে কেবল এই আদেশই করা হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে, অনুগত্যকে একনিষ্ঠ ভাবে তারাই জন্য খালেস রেখে এবং নামাজ কায়েম করবে ও যাকাত দেবে আর এটাই সরল সঠিক উম্মতের দিন।পবিত্র কুরআনের (সূরা বাইয়‌্যিনাহ:৫) আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন সমস্ত কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল এবং মানুষের তাই প্রাপ্য হয় যা সে নিয়ত করে।
অর্থাৎ ব্যক্তি ফরজ রোজা রাখবে আর সে ব্যক্তির জন্য নিয়ত করা ওয়াজিব। নিয়ত হচ্ছে হৃদয়ের কাজ। যেগুলোর সাথে মুখের কোন সম্পর্ক নাই। এবং মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশে পালন এবং তা সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করা সংকল্প করা।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ মাস। এটি একটি পবিত্র মাস। এই মাসে পুরো পৃথিবীর মুসলিমেরা রোজা পালন করেন এবং আল্লাহর ইবাদত করে কাটিয়ে থাকেন। রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল নিচে দেওয়া হলঃ

রোজা পালন করা: রমজান মাসে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমলের মধ্যে রোজা পালন করা অন্যতম। রমজান মাস হল মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস যে মাসে মুসলমানেরা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে। আমাদের সকলের উচিত রমজান মাসে সুন্নাহ মোতাবেক রোজা পালন করা। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে মাসটি উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে’(সূরা বাকারা : ১৮৫)। 

স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে রোজা রাখার কথা বলেছেন। রোজার মাসের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজান পালন করবে তার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন’(বুখারী : ২০১৪) আবার অন্য হাদিসেও রয়েছে যে ব্যক্তি রমজান মাসে শুধুমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য একদিন রোজা পালন করবে তাকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তী স্থানে রাখবেন ’ (মুসলিম : ২৭৬৭) তাই আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসে রাসুলে পাক সাঃ এর সুন্নাহ মোতাবেক রোজা পালন করা।
বেশি বেশি দান সদকা করা: রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল এর মধ্যে উত্তম একটি কাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তার সকল উম্মত কে দান সদকা করতে বলেছেন। রমজান মাসে আমাদের উচিত নিজের সাধ্য অনুযায়ী এতিম বিধবা গরিব মিসকিনদের প্রতি বেশি বেশি দান সদকা করা। তাছাড়াও এ মাসে যাকাত দেওয়া উত্তম। 

কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন তোমরা এই মাসে বেশি বেশি দান সদকা করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। এবংহযরত মুহাম্মদ সাঃ নাকি রমজান মাস আসলে আরো দানশীল হয়ে যেতেন। তাই আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দান সদকা করা।

উত্তম চরিত্র গঠনের করা : রমজান মাস হল মুসলিম গনের জন্য একটি পবিত্র মাস। পুরো একমাস জুড়ে মুসলিমেরা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে।, চরিত্র গঠনের মাসই হলো রমজান মাস। এ মাসে সকলকে হিংসা বিদ্বেষ অহংকার গীবত অন্যায় অশ্লীলতা সহ এসব যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা সকলেই সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। এই মাসে সকলেরই উচিত রোজা থাকা অবস্থায় কোন খারাপ কথা বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার অথবা অশ্লীলতা করা যাবে না। 

তাই নিজেকে এমন ভাবে গঠন করতে হবে যেন কেউ বলতে না পারে যে আপনি কাউকে গালাগালি বা অন্যায় করেছেন। এই মাসে শয়তানকে বন্দি করে রাখা হয়। তাই আমাদের সকলেরই উচিত উত্তম চরিত্র গঠন করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোজা রাখে, এবং সে যেন তখন অশ্লীল কাজ এবং শোরগোল থেকে বিরত থাকে। 

রোজা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার দিকে গালাগালি বা মারামারি করতে আসে, তাহলে সেজন্য তাকে বলে আমি রোজদার।’ (সহীহ আল বুখারী ২০৪৪) তাই আমরা রমজান মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন আমরা কোন খারাপ কাজে জড়িত না হয়। এবং পুরো বছর আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকবো ইনশাআল্লাহ।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া : রমজান মাস আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে পবিত্র কুরআনে প্রথম আয়াতটি নাযিল হয়েছে। এ মাসে আমরা সকলে আল্লাহর এবাদতের মাধ্যমে কাটিয়ে থাকবো। রমজান মাসে এটি বিশেষ ইবাদত হল তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।  তাহাজ্জুদ নামাজে অনেক সওয়াব ও মর্যাদা রয়েছে এটি আমাদের সকলেরই করা উচিত রমজান মাসে। রমজান মাসের কারণে তাহাজ্জুদ নামাজের অনেক গুণ ফজিলত বেড়ে যায়। যেহেতু সবাইকে সেহেরী খাওয়ার জন্য উঠতে হয় সেজন্য রমজান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ’ (মুসলিম : ২৮১২)। তাই আমাদের সকলেরই উচিত এই পুরো রমজান মাসে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। তাই আশা করি করার আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই এই পুরো মাস তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তৌফিক দান করবেন। আমিন।

সামর্থ্য থাকলে ওমরা পালন করতে যাওয়া : রমজান মাস মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসে ওমরা পালন করা। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ওমরা পালন করার চেষ্টা করতে হবে। রমজান মাসে যদি কেউ আমরা পালন করে সে নাকি একটি হজের সমান সাওয়াব পাবে। 

একটি হাদিস আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস এ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজান মাসে ওমরা করা আমার সাথে হজ আদায় করার সমতুল্য।’(সহিহ বুখারী, হাদিস : ১৮৬৩) তাই আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসে যদি আমাদের কারো সম্মতি থাকে তাহলে ওমরা পালন করতে যাওয়া। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে রমজান মাসে আমরা করার তৌফিক দান করুক আমিন।
তারাবির নামাজ আদায় করা: রমজান মাসে একটি পবিত্র মাস। এই মাসে আমাদের সকলেরই উচিত তারাবির নামাজ আদায় করা। তারাবির নামাজ আদায় করা রমজান মাসের একটি অন্যতম আমল। একটি হাদিসে এসেছে, যে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমজান বা (সালাতুত তারাবি) নামাজ আদায় করবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’ (বুখারী : ২০০৯) তারাবির সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ আস্তে ভিড় ধীর স্থির ভাবে এই নামাজ আদায় করতে হবে। তারাবির নামাজ সব সময় জামাতের সঙ্গে পালন করা একটি সুন্নত। হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে (সালাতুত তারাবি) আদায় করবে তাকে পুরা রাত কি আমল লাইলের সওয়াব দান করা হবে।’ (আবু দাউদ :১৩৭৭)

লাইলাতুল কদর তালাশ করা : লাইলাতুল কদর এমন একটি রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হয়েছে ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ (সূরা কদর আয়াত নাম্বার ৪ ) (সহীহ আল-বুখারী, হাদিস : ৩৫) এ মহান নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদত করবে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ সুবহানাল্লাহ। নবী (সাঃ) বলেছেন তোমরা রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজের রাত গুলোতে লাইলাতুল কদরের খোঁজ করবে।

ইফতার করা এবং ইফতার করানো : সময়মতো ইফতার করা অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল। এর কোন বিলম্ব নেই। এটি হাদিসে রয়েছে ‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না পেলে তার পরিবর্তে পানিতে ইফতার করবে। কেননা পানি হলে অধিক পবিত্র।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৯) আবার এই দিকে অন্যদেরকেও ইফতার করানো একটু বিরাট সোয়াবের কাজ। প্রতিদিন কমপক্ষে একজনকে ইফতার করানো আমাদের সকলের উচিত। 

এ হাদিসে রয়েছে, ‘যে ব্যাক্তি কোন রোজদার কি ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সব থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না।’ (সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস নম্বর: ১৭৪৬) তাই আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসের প্রতিদিন গরিব মানুষদের কে যারা রোজা থাকে তাদেরকে ইফতার করানো এবং নিজেও ইসলামিক মোতাবেক সুন্নাহ পালন করে ইফতার করা। সুন্নাহ মোতাবেক ইফতার করলে সে ইফতারের বরকত অনেক বেড়ে যায়।

ইতিকাফ করা: ইতিকাফ হলে আরবি শব্দ এর অর্থ হল অবস্থান করা। এর মানে হলো মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে সালাত, সিয়াম, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার ও আরো ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ‌্যে একাকী সময় জীবন যাপন করা। এই ইবাদতে অনেক মর্যাদা রয়েছে তার কারণে প্রত্যেক রমজানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ ১০ দিন তিনি নিজে এবং তার সাহাবীদেরকে নিয়ে ইতিকাফ করতেন। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমাদের নবী প্রত্যেক রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র তার জীবনের শেষ রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন’ (বুখারী : ২০৪৪)। কিন্তু উল্লেখযোগ্য দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নত।

দাওয়াতের দিনে কাজ করা: রমজান মাস হলে ইবাদতের মাস। যেই মাসে সবাই মুসলমানেরা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে। দ্বীনের দাওয়াতের সর্বোত্তম মাস হলো রমজান মাস। মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা উত্তম কাজ। এজন্য আমাদের সকলের উচিত এই মাসে সকলকে কোরআন হাদিস সম্পর্কে জানানো এবং নামাজ পড়া দাওয়াত দেওয়া। আবার আপনারা কোরআন বিতরণ ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।

কুরআনের বর্ণিত, ‘ওই ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কারো হতে পারে না-যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করল এবং ঘোষণা করল যে, আমি একজন মুসলিম।
আরেকটি হাদিসি রয়েছে, ‘ভালো কাজে পথ প্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারী। অনুরোধ সব পাবে।।, (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস : ২৬৭০। তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করব এ মাসে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার।

শেষ কথা :

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। আশা করি আপনার এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে এবং জানিয়েছি। এ পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্স জানিয়ে যাবেন। এবং এ পোস্টটি সকল বন্ধুবান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন যেন তারা আমাদের এই রমজান মাসে সম্পর্কে জানতে পারে। আজকে এত দূরে আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url