অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলের যত্নে অ‌্যালোভেরার উপকারিতা

সম্মানিত পাঠকগণ আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন অ‌্যালোভেরার উপকারিতাও অপকারিতা-চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আপনারা যদি অ্যালোভেরা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের এই পোস্টটা আপনার জন্য।

অ‌্যালোভেরার মধ্যে অনেক গুণ রয়েছে। আপনারা যদি অ্যালোভেরা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাহলে পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করি আপনার এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগবে ইনশাল্লাহ। এবং এলোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোস্টটি লিখেছি তাই আশা করি আমরা এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়বেন।

আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ঘৃতকুমারী কি। ঘৃতকুমারী এটি বাংলা ভাষায় এর নাম । এবংএর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে অ্যালোভেরা। এই অ্যালোভেরা রসালো উদ্ভিদ এর প্রজাতি এলো পরিবার উদ্ভিদের। অ্যালোভেরা দেখতে প্রায় ক্যাকটাসের মত হলেও এটা আসলে ক্যাকটাস নয় এটি একটি লীল প্রজাতির উদ্ভিদ এর প্রাচীন নিবাস আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চলে। বর্তমান সময় থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মিশর থেকে এর উৎপত্তি ঘটে। এটি চিকিৎসাশাস্ত্রে এলোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই প্রাচীনকাল থেকে।

অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকা অ‌্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ‌্যান্টি-ফাঙ্গাল যা ইনফরমেশন, রেডমি, ইনফেকশন, র‌্যশেস এবং ইচিং কমাতে অনেক সাহায্য করে। আমাদের মাথার ত্বক তাকে একটি এক্সটেনশন বলা হয় তাই আপনার চুলে এলোভেরা ব্যবহার করে মাথার ত্বকে চুলকানি এবং ফ্ল‌্যাকিং দূর করতে সাহায্য করে।

আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করলে কি হয়। এটি ব্যবহার করলে আপনার চুলের শুষ্ক ভাব মাথার চুলকানি এবং আরো ইত্যাদি দূর হবে। অ্যালোভেরার মধ্যে অনেক গুন রয়েছে যা আপনার চুলকে সৌন্দর্যময় এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। এমন যে আপনার চুল পড়া ও খুশকি সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে।

আপনারা ভাবতে পারেন চুলের জন্য অ্যালোভেরা কতটা ভালো। অ্যালোভেরার মধ্যে হাজার হাজার গুন রয়েছে। এটি আমাদের ত্বক এবং শরীরের জন্য উপকারী। ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা আমাদের মাথার ত্বকের ক্ষত নিরাময় এবং কোন চুলকানি ঠিক করতে সাহায্য করে। এটি স্বাস্থ্যকর ভিত্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে যা চুল বৃদ্ধিতে উৎসাহিত দেয়।

চুলের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এলোভেরা অনেক গুণ রয়েছে। অ্যালোভেরা চুলের জন্য অনেক উপকারী। আপনারা চাইলে অ্যালোভেরার মাধ্যমে আপনাদের চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন। আদি কালের অভিজাত নারীর আর রূপচর্চায় এ অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন। অ্যালোভেরা হল একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ফুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল:

• চুল মজবুত করে
• চুলের গঠন দৃঢ় করে
• স্ক‌্যাল্পের তেলতেলে ভাব দূর করে
• স্ক‌্যাল্পের বিভিন্ন অস্বস্তি দূর করে 

অ্যালোভেরা চুল মজবুত করে : অ্যালোভেরার মধ্যে এমন অনেকগুলো উপকরণ রয়েছে যা আপনার চুলের পুষ্টি যোগাই। এলোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার চুল মজবুত হয়। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এই তিনটি ভিটামিন আমাদের চুল মজবুত করতে সাহায্য করে।

অ‌্যালোভেরা মাধ্যমে চুলের গঠন দৃঢ় হয় : অ্যালোভেরা আমাদের শরীর এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এলোভেরার মধ্যে অ্যালোনিন নামের একটি উপকরণ রয়েছে। যেটির সাহায্যে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন নতুন চুল গোজাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চুলের রুক্ষ সুক্ষ ভাব দূর করে। খুশকির সমস্যা দূর করে। চুলের লালচে ভাব দূর করে এবং চুলকে সুন্দর করে তোলে।

স্ক‌্যাল্পের তেলতেলে ভাব দূর করে: অ্যালোভেরার মধ্যে ফ্যাটি এসিড এবং এনজাইম রয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের মাথার তালুর তেল তেলে ভাব দূর হয়। আপনাদের শিবাম প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রণ করে এই ফ্যাটি এসিড এবং এনজাইম। অ্যালোভেরা ব্যবহার করা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা।

অ‌্যালোভেরা স্ক‌্যাল্পের বিভিন্ন অস্বস্তিদূর করে : আমাদের মাথার চুলের তালুতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যেমন চুলকানি,ইচিং, আরো অন্যান্য ইরিটেশন হয়। এলোভেরা জেল এর মধ্যে থাকা অ‌্যামাইনো এসিড রয়েছে যা চুলের হাজারো সমস্যা দূর করে। চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান রয়েছে এই এলোভেরার মধ্যে। তাই সকলের যদি অ্যালোভেরা ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুলে জন্য অনেক উপকারিতা হবে।

আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে অ্যালোভেরা চুলে কিভাবে ব্যবহার করব। অ্যালোভেরা ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রে এক চা চামচ মধু, ২ চা চামচ এলোভেরা এবং দুই চা চামচ নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশ্রিত করে জেল তৈরি করে নিন। গোসল করার আধাঘন্টা আগে আপনার চুলে সেই মিশ্রণিত জেলি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। 

এবং চুলের উপর একটি গামছা দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। সেই মিশ্রিত জেলি মাথাতে লাগানোর আধাঘন্টা পর সেটা ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে আপনার চুলের জন্য অনেক উপকার হবে।

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন করা যায়। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে তাজা লেবুর এক টেবিল চামচ রস নিন তারপর টেবিলস্পুন এলোভেরা ঢেলে নিন। এবং এটি ভালোভাবে পেশ তৈরি করে আপনার মাথাতে ভালোভাবে লাগেনি। এই পেস্ট মাথাতে লাগানোর ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু বা এমনি ধরে নিন। এতে করে খুব সহজে আপনারা আপনাদের চুলের যত্ন নিতে পারেন।

চুলের যত্নে ডিম ও এলোভেরা

আপনারা চুলের যত্নে ডিম ও এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনার চুলের গোড়া মজবুত এবং স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি চুল বৃদ্ধি হবে আরো চুল পড়া বন্ধ হবে। এজন্য একটি পাত্রে একটি ডিমের কুসুমও দুই চা চামচ এলোভেরা এবং এর সঙ্গে এক চা চামচ অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবং এটি চুলে লাগানোর ২৫-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা আপনার চুলের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলবে।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা জানতে পেরেছেন অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমরা যত সম্ভব চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে এই অ্যালোভেরা সম্পর্কে জানানোর। প্রিয় পাঠক আমাদের যদি এ পোষ্টটি আপনার পড়ে ভাল লাগে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামতি জানিয়ে যাবেন এবং এ পোস্টটিতে যদি আপনার উপকার হয় তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করুন। আশা করি আপনারা পোস্টটি পুরোপুরি পড়েছেন। ধন্যবাদ।