IELTS কি - IELTS ছাড়া ইউরোপে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আজকে আমাদের এই
পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন IELTS কি ও IELTS ছাড়া ইউরোপে কোন কোন দেশে যাওয়া
যায় এ সম্পর্কে। এছাড়াও আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনারা IELTS সম্পর্কে আরও নানা
তথ্য জানতে পারবেন আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি পূরণ আশা করি আমাদের এই পোস্টটি
পড়ে আপনার ভালো লাগবে।
আমাদের আজকের এই পোস্টে IELTS অনেক রকম তথ্য থাকবে তাই আমাদের আজকের এই পোস্টটি
পুরোপুরি পড়ুন। আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ে আপনার ভালো লাগবে এবং আপনি উপকৃত
হবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি তাই
আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিতে পড়বেন আশা করি। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
IELTS কি
IELTS হল একটি সংক্ষিপ্ত রূপ যার পূর্ণরূপ হল International English Language
Testing System যার বাংলা অর্থ হলো আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা পদ্ধতি। মূলত
যারা বিদেশে পড়াশোনা ইচ্ছে রয়েছে বা চাকুরী, ব্যবসা জন্য যেতে চায় মূলত বিদেশ
যাওয়ার আগে এই IELTS লাগবে। IELTS হল দুই প্রকার একটি হলো Academic IELTS এবং
আরেকটি হলো General Training IELTS বা তার সংক্ষিপ্ত রূপ হল (GT) IELTS।
আরো পড়ুন ঃ
ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে ২০২৪
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে Academic IELTS কাদের জন্য। এ প্রশ্নের উত্তর হল
যারা দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যায় মূলত তারাই এই Academic IELTS এ অংশ নেয়।
এটি মূলত শুধুমাত্র স্টুডেন্টদের জন্য। এর মানে হলো আপনি যদি দেশের বাইরে
পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার Academic IELTS পরীক্ষা দিতে হবে এবং সে পরীক্ষাতে
যদি আপনি উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে
পারবেন।
এবং এই দিকে General Training IELTS হল যারা ইংরেজিতে কথা বলা দেশগুলোকে
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে বা ব্যবসা বা চাকরির জন্য যেতে চায় তারাই মূলত এই
General Training IELTS পরীক্ষা দিয়ে থাকে।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশের সহজেই ভিসা পাওয়া যায়
আমরা অনেকেই আছি যারা জানতে চায় কম খরচে ইউরোপের কোন দেশের সহজেই ভিসা পাওয়া
যায়। আমরা অনেকেই আছি যারা কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে
জানতে চাই।
আমরা সকলেই জানি এশিয়ার কোন দেশে যাওয়ার থেকে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার খরচ
অনেক। তাছাড়াও ইউরোপের এমনও অনেক দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যেতে
খুব কম খরচ হবে বাকি দেশগুলোর তুলনায়। যারা কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান
তা সম্পর্কে আমরা আছে উল্লেখ করব।
যদি আপনারা ইউরোপের এই দেশগুলি যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য ইউরোপের
দেশে যে যাওয়া থেকে। সবচেয়ে কম খরচে ইউরোপে যাওয়ার কয়েকটি দেশের নাম নিচে
উল্লেখ করা হলো:
- পর্তুগাল
- ফ্রান্স
- হাঙ্গেরি
- সুইজারল্যান্ড
- নেদারল্যান্ডস
- লিথুনিয়া
- বেলজিয়াম
- জার্মানি
আরো ইত্যাদি ইউরোপের অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলোতে খুব কম খরচে এবং সহজে ভিসা
পাওয়া যায়।
পর্তুগাল : পর্তুগাল এমন একটি দেশ যে দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই সহজ।
ফতোয়ালকে অভিবাসীদের সড়ক বলে গণ্য করা হয়। এছাড়াও পড়াশোনা ভ্রমণ এই বিষয়ে
পর্তুগালে খুব সহজে ভিসা পাওয়া যায় তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে কমপক্ষে IETLS
পরীক্ষা স্কোর ৬.০০ থাকতে হবে। পর্তুগাল হল ইউরোপের একটি উন্নতশীল দেশ।
আমরা অনেকে আছি যারা পর্তুগাল ফুটবল টিমকে সাপোর্ট করে থাকি। আমরা অনেকেই আছি
যারা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্যই পর্তুগাল কে সাপোর্ট করে থাকি।
ফ্রান্স : ফ্রান্স যা সরকারিভাবে নাম রাখা হয়েছিল ফরাসি প্রজাতন্ত্র।
ফ্রান্স হল ইউরোপের একটি অর্থনৈতিক ও শক্তিধর একটি রাষ্ট্র। এদেশের টুরিস্ট ভিসা
পাওয়া খুব সহজ। কিন্তু কাজের বিষয়ে ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। তবে ফ্রান্সের ভিসা
প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে এদেশের হিসাব ফ্রান্সের
স্টুডেন্ট ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়।
হাঙ্গেরি : ইউরোপের একটি সুন্দরতম দেশ হাঙ্গেরি। বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি
যাওয়ার ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো
হয়েছিল ২০২১ সালে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন যারা করেছিল তার মধ্যে ৯৫ শতাংশই
ভিসা পেয়েছিলেন। এবং বাকি পাঁচ শতাংশ ভিসা না পাওয়ার কারণ হলো তাদের কাগজে
গরমিল ছিল।
শিক্ষাক্ষেত্রে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। এর জন্য কিছু শর্ত
রয়েছে যা বেশ সহজ। এছাড়াও হাঙ্গেরিতে কাজের ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য ভিসা চালু
করা হচ্ছে।
সুইজারল্যান্ড : আমরা অনেকে আছি যারা সুইজারল্যান্ড নামক দেশকে চিনি। এটি
একটি ইউরোপের ছোট দেশ। এটি পৃথিবীর মধ্যে ধনী রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে অন্যতম।
সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি ট্রেন এবং চকলেট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এ দেশ প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে ভরপুর। এই দেশে বিশ্বের অনেক প্রান্ত থেকে ঘুরতে আসেন অনেক
পর্যটকেরা।
অনেকে আবার বলে থাকেন পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর স্থান হলো সুইজারল্যান্ড। স্টুডেন্ট
ভিসা ও টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে যাওয়া যায়। অধিকাংশ
বাংলাদেশী রয়েছে যারা টুরিসের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে থাকে। কিন্তু কাজের
বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া একটু কঠিন ব্যাপার আবার পড়াশোনার জন্য ভিসা
প্রাপ্তির দরকার হলে এটি পাওয়া খুবই সহজ।
নেদারল্যান্ড : বর্তমান সময়ে নেদারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া খুবই
সহজ হয়ে গেছেG কয়েক বছর ধরে পরিসংখ্যান করা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যেসব
শিক্ষার্থীনেদারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছে তাদের তাদের মধ্যে
প্রায় সকলেই এই ভিসাটি পেয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার আইইএলটিএস থাকতে হবে
৬.৫০। এছাড়া নেদারল্যান্ড ইউরোপের সৌন্দর দেশ।
এরকম আরো অনেক বেশি রয়েছে যেগুলো ইউরোপের ভিতর অবস্থিত এবং সে দেশের ভিসা গুলো
পেতে আমাদের বেশি কষ্ট করতে হবে না।
IETLS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা আইএলটিএস পরীক্ষা দিতে গিয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ার
কারণে ভাবি যে হয়তো আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন দেশে যেতে পারবো না। আমাদের
অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে IETLS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? IETLS ছাড়াও এমনও
অনেক দেশ রয়েছে যেখানে আপনি যেতে পারবেন সে দেশের নাম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- তাইওয়ান
- জাপান
- জার্মানি
- ইতালি
- ফ্রান্স
- দক্ষিণ কোরিয়া
- নেদারল্যান্ড
- ভিয়েতনাম
- অস্ট্রেলিয়া
- নিউজিল্যান্ড
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- সুইজারল্যান্ড
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- রোমানিয়া
- হাঙ্গেরি
- সার্বিয়া
- গ্রীস
আরো ইত্যাদি এমন অনেক দেশ হয়েছে যে দেশগুলোতে IETLS ছাড়াই যেতে পারবেন। উপরের
এই দেশগুলোতে আপনারা IETLS তারাই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোর স্টুডেন্ট ভিসা এবং
ওয়ার্ক মার্ক পারমিট ভিসার জন্য IETLS কোন দরকার পড়বে না এটা বাধ্যতামূলক
নয়।
কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যারা আবেদন করবেন তাদের হয়তো বা MOI (Memorandum of
Incorporation) লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার এদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা নিতে হলে
আপনার কাগজপত্র সব তথ্য সত্যি এবং সঠিক দিতে হবে।
IETLS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
এখন আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে IETLS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে
যাওয়া যায়। অনেকে আছেন যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আইএলটিএস ছাড়াও ইউরোপের
এমনও অনেক উন্নতশীল দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে এগুলোর প্রয়োজন পড়বে না
শিক্ষাক্ষেত্রে যান কিংবা ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে যান।
আমাদের ছোটবেলা থেকে অনেকেরই মনে একটি আশা থাকতে পারে যে আমরা ইউরোপের কোন একটি
ভালো কান্ট্রিতে গিয়ে ভালো মানের পড়াশোনা করব।
IETLS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হল:
- ক্রোয়েশিয়া
- রোমানিয়া
- সার্বিয়া
- ইতালি
- হাঙ্গেরি
- পর্তুগাল
- ফ্রান্স
- মালটা
- বুলগেরিয়া
- গ্রীস
আরো ইত্যাদি ইউরোপের অনেক দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে আইইএলটিএস এর দরকার পড়ে না।
আইইএলটিএস ছাড়াই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায়। উপরের এই দেশগুলোর পড়াশোনার
মান-মর্যাদা অনেক বেশি। আপনারা যারা আইইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি
তারা এই ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারেন।
এ দেশগুলোতে আইইএলটিএস ছাড়া ভিসা দেওয়া হবে না এরকম কোন বিধি নিষেধ নেই।
শুধুমাত্র কিছু নিয়ম থাকতে পারে তার থেকে বেশি নয়।
IELTS কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে IELTS কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। আইইএলটিএস এর মাধ্যমে
বিভিন্ন দেশের ভিসা খুব সহজে আপনারা পেতে পারেন। এবং আইইএলটিএস এর মাধ্যমে
বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করবে। আইএলটিএস এ থাকলে
বুঝা যাবে যে আপনি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা কতটুকু রয়েছে।
এটি এক ধরনের আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতাপত্র। এমনকি বিশ্বের বড় বড় কলেজে ভর্তি
হওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে পারে। যারা আইইএলটিএস পরীক্ষা দেননি তারা আইই
এলটিএস পরীক্ষা দিয়ে একবার ট্রায়াল করবেন তাহলে আপনি এই সুযোগ-সুবিধা পেতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্যঃ IELTS কি - IELTS ছাড়া ইউরোপে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা এই সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন।
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি
আমাদের এ পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। যদি আমাদের এ পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো
লাগে তাহলে আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
এ সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী আপনার বন্ধু বান্দাদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার
করুন। আজ আর নয় আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়ার জন্য
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url