জন্ডিস এর লক্ষণ ও প্রতিকার - জন্ডিস হলে করনীয়
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলে জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে করণীয় কি এর সম্পর্কে
বিস্তারিত বলেছি। এবং আপনারা যদি জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে
করণীয় কি এ সম্পর্কে জানতে চান কিংবা আগ্রহী হন এবং জন্ডিস সম্পর্কে আরো নানা
তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলের পোস্টটি আপনার জন্য।
আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি জন্ডিসের
লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে করণীয়, জন্ডিস কেন হয়, জন্ডিস রোগীর খাবার
তালিকা, জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না এর সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ুন তাহলে এর সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ভাবে ধারণা চলে আসবে তো চলুন আর বেশি
দেরি না করে বিস্তারিত জানা যাক।
জন্ডিস কেন হয়
জন্ডিস কেন হয়। আমাদের সকলেরই ছোট থেকে বড় হওয়ার পরেও জীবনে একবার না একবার
হলে ও জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিস হওয়ার আগে সাধারণত যেসব সমস্যা হবে যেমনঃ চোখের
মনি হলুদ রঙের হবে এবং হাত পাও পুরো শরীর হলুদ রঙের হয়ে যাবে তার সাথে প্রসবের
রং ও গারো হলুদ হবে।
আরো পড়ুনঃ
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় -ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
খাওয়া-দাওয়া রুচি কমে যাবে, শরীরে হালকা জ্বর জ্বর ভাব এবং বমি বমি ভাব চাপবে
ও শরীর ঝিম ঝিম ভাব লাগবে কিংবা পুরো শরীর ব্যথা অনুভব হবে এছাড়াও বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দিবে। এবং অনেক মানুষেরই মনে প্রশ্ন আসে জন্ডিস কেন হয়।
আমরা আমাদের এই পোস্টে বলেছি জন্ডিস কেন হয় আপনি যদি এখন আমাদের এই পোস্টে এসে
থাকেন কিংবা এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে
জন্ডিস কেন হয় ও কি কি কারণে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন
জন্ডিস সম্পর্কে জানা যাক।
জন্ডিস কেন হয় এবং জন্ডিস হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে তা হলোঃ জন্ডিস হওয়ার
প্রধান কারণ হলো লিভারে রোগ হওয়া, এবং রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে
জন্ডিস দেখা দেয়, হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, হেপাটাইটিস সি
ভাইরাস, হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস ও হেপাটাইটিস ই-ভাইরাস এই ভাইরাস গুলোর জন্য
শরীরে জন্ডিস হয়।
আরো পড়ুনঃ
হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করনীয়
এবং কোন ভাইরাসের জন্য কোন কোন বয়সের মানুষদের জন্ডিস হয় তা হলোঃ হেপাটাইটিস
এ ভাইরাসের জন্য ছোট বাচ্চাদের জন্ডিস হয়, হেপাটাইটিস ই ভাইরাসটার কারণে
বড়দের জন্ডিস হয়, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসটা আমাদের সকলেরই হয়ে থাকে।
মূলত এগুলো হেপাটাইটিস ভাইরাস এর কারনেও জন্ডিস হয়ে থাকে।
এবং জন্ডিস বিভিন্নভাবে ও হয়ে থাকে এবং আমাদের শরীরে জন্ডিসের জীবাণুটা দুই
ভাবে প্রবেশ করতে পারে তা তা হলোঃ একটি আরেকটা রক্তের মাধ্যমে বা সিরিজ এগুলোর
মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে, এবং আরেকটি হলো খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমেও প্রবেশ করতে
পারে। আশা করি জন্ডিস কেন হয় এবং কি কি কারণে জন্ডিস হয় এ সম্পর্কে আপনারা
বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
জন্ডিস এর লক্ষণ ও প্রতিকার
জন্ডিস এর লক্ষণ ও প্রতিকার। আমরা সকলেই যুগ যুগ ধরে এই জন্ডিস রোগের সঙ্গে
পরিচিত। আপনারা অনেকেই জানেন না জন্ডিস কেন হয় এবং কি কি কারণে হয়। আপনারা
অনেকেই এই জন্ডিসে ভুগছেন। এবং জন্ডিস হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে তা আপনারা কি
জানতে চাচ্ছেন।
আমরা এই পোস্টে বলেছি জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনারা যদি আমাদের এই
পোস্টে এসে জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে
পারবেন। আমাদের অনেকেরই জন্ডিস হলে তাকে আমরা রোগ বলে থাকি আসলে জন্ডিস কোন রোগ
না।
এবং জন্ডিস হওয়ার কারণ কি জন্ডিস মূলত আমাদের শরীরের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। সাধারণত আমরা যা যা খাওয়া-দাওয়া করি সব খাবার
গুলোই আমাদের লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। সাধারণত লিভারের কোন রোগ হলে জন্ডিস
দেখা দেয় এবং এই লিভারের রোগী হলো জন্ডিস হওয়ার মূল কারণ।
এবং এই জন্ডিস হওয়ার কারণে মৃত্যু ও পর্যন্ত হতে পারে। এবং জন্ডিস পাওয়ার
লক্ষণ কি কি তা হলোঃ শরীরে বারবার জ্বর জ্বর অনুভূতি করা কিংবা কাঁপানি দিয়ে
জ্বর আসা, সবসময় মাথা ঘোরাঘুরা ভাব লাগা, এবং জন্ডিস হওয়ার প্রধান লক্ষ্য হলো
প্রসাব করার সময় হলুদ রঙের প্রসাব হাওয়া চোখও হলুদ হয়ে যাওয়া এবং বেশি যদি
সমস্যা হয় তাহলে গোটা শরীরী গারো হলুদে পরিণত হয়ে যাবে।
এবং সব সময় শরীরে ঝিমঝিম ভাব লাগা, খাবার খেতে না পারা, খাবার খাওয়ার সময়
বমি বমি ভাব চাপা, পেটে ব্যথা অনুভব করা ও অনেক সময় সাদা পায়খানা হওয়া
ইত্যাদি এগুলো জন্ডিস হওয়ার লক্ষণ।
এবং কিভাবে জন্ডিসের রোগ প্রতিরোধ করবেন এবং এর কি করনীয় তা হলোঃ রাস্তা ঘাটে
বাইরের ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে সাবধান থাকবেন, বাইরের কোন ফলের জুস শরবত খাওয়া
থেকে দূরে থাকুন, সব সময় পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকুন, নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি পান
করুন, জীবাণুমুক্ত খাবার গ্রহণ করুন, লিভারের চর্বির নিয়ন্তরে রাখার চেষ্টা
করুন, মদ পান থেকে বিরত থাকুন।
এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন ও
সময় মত হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দিন। আমরা যেগুলো কথা বললাম এগুলো মেনে
চললে আশা করি জন্ডিস খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। আশা করি জন্ডিসের লক্ষণ ও
জন্ডিসের রোগ প্রতিরোধ কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনারা জানতে
পেরেছেন।
জন্ডিস হলে করনীয়
জন্ডিস হলে করণীয়। জন্ডিস হলে শরীরের একটি লক্ষণ কিংবা উপসর্গ। এবং জন্ডিস
শব্দ ইংরেজি। জন্ডিস এর বাংলা শব্দ হলো ন্যাবা কমলা। অনেক মানুষই এই জন্ডিসের
আক্রান্ত। এই জন্ডিসকে আবার অনেক মানুষ হলুদ রোগ ও বলে থাকে।
এবং এই জন্ডিস হলে এর করনীয় কি তা হলোঃ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে বাড়িতে
বিশ্রাম করতে হবে, বাইরের ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, নিরাপদ
বিশুদ্ধ পানি এবং নরম ও তরল খাবার খেতে হবে, পরিষ্কার পরিছন্নতা ও থাকতে হবে,
রোদে ঘুরা যাবে না এবং সময়মত হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দিবেন, এবং আপনার
যদি রক্ত নেওয়ার দরকার হয় তাহলে প্রয়োজনীয় স্কিন করে রক্ত নিতে হবে।
এছাড়াও আপনি ডাবের পানি খাবেন এতে আপনার জন্ডিস ভালো করতে ডাবের পানি অনেক
উপকারী। এবং আপনি কুশরের রস খাবেন এতেও আপনার জন্ডিস ভালো করতে কুশলের রস অনেক
সাহায্য করবে। আশা করি জন্ডিস হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন।
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা। আপনারা অনেকেই জানেন না জন্ডিস হলে কি কি ফল ও
শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে। আবার অনেক মানুষই মনে করে যে জন্ডিস হলে মাছ-মাংস
খাওয়া যাবে না মাছ মাংস খেলে আরো জন্ডিস বাড়বে এটি তাদের ভুল ধারণা। আপনার
অনেকেই জানতে চান জন্ডিস হলে কি কি খাবার খেতে হয়।
জন্ডিস রোগীর জন্য কি কি খাবার খাওয়া যাবে তা আমাদের এই পোস্টে বলেছি তা
আপনারা যদি এ সম্পর্কে জানতে চান সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন জন্ডিস হলে
কি কি খাবার খেতে হয়। জন্ডিস হলে যা যা সবজি জাতীয় খাবার খেতে পারবেন তা হলোঃ
মিষ্টি কুমড়া, বিট, মুলা, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মিষ্টি আলু, গাজর, পালংশাক
ইত্যাদি জন্ডিস রোগীর জন্য খুব উপকারী।
এবং জন্ডিস রোগী যেগুলো প্রোটিন খাদ্য খেতে পারবে যেমনঃ পরিমাণ মতো ডাল, মুরগির
মাংস এবং মাছ। এবং জন্ডিস রোগী যেসব ফল খেতে পারবে তা হলোঃ পাকা আম, পেঁপে,
তরমুজ, বেরিস, আনারস, জলপাই আঙ্গুর, আপেল, বেদনা ইত্যাদি ফল জন্ডিস রোগীর জন্য
খুবই উপকারী। আশা করি জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে আপনারা জানতে
পেরেছেন।
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা। আপনার অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না জন্ডিস
হলে কি কি খাওয়া যাবেনা। এবং জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে
আপনারা অনেকেই জানতে চান।
জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না তা হলোঃ মদ পান করা থেকে বিরত থাকুন,
বাইরের ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না, চিনি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না,
অতিরিক্ত তেলের মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না, গরুর ছাগল ও মহিষের মাংস খাবেন না।
যেগুলো বললাম এগুলো কথা মত যদি মেনে চলেন ইনশাল্লাহ তাহলে আপনার জন্ডিস ভালো
হবে। আশা করি জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে আপনারা জানতে
পেরেছেন।
শেষ কথাঃ জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে করণীয়
প্রিয় পাঠক আশা করি এতক্ষণে নিশ্চয় আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন জন্ডিসের
লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে করণীয়, জন্ডিস কেন হয়, জন্ডিস রোগীর খাবার
তালিকা, জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা এর সম্পর্কে।
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে এই জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং
জন্ডিস হলে করণীয় কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি।
তাই আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।
এবং আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার বাড়ির আশপাশে যাদের জন্ডিস আছে তাদের মাঝে
শেয়ার করবেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url