হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়

সম্মানিত পাঠক আসলামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। এবং আপনারা যদি হঠাৎ নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয় এ সম্পর্কে জানতে চান কিংবা আগ্রহ হন এবং নিঃশ্বাস সম্পর্কে আরো নানা তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টটি আপনার জন্য।
হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়

আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণ কি, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন, শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এর সম্পর্কে।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে এ সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ভাবে ধারণা চলে আসবে তো চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জানা যাক।

হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়

হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়। আপনারা অনেকেই আছেন যাদের জ্বর সর্দি ও কাশি হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এবং অনেক সময় কোন রোগ না হলেও নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় কারণ এটি শ্বাসকষ্টর লক্ষণ। এবং শীতের মধ্যে ও অনেকেই এই শ্বাসকষ্টের সমস্যার মধ্যে ভুগছেন।

এবং শরীরে যেসব রোগ হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে তা হলোঃ জ্বর ও সর্দি কাশি, হৃদয় রোগ, এলার্জি, মানসিক চাপ, নিউমোনিয়া, হাঁপানি ইত্যাদি এবং এ ছাড়া ও বেশির ভাগই ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এবং এছাড়াও কোন কাজ করার সময় নাকে ধুলাবালি ঢুকার কারণেও হালকা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
এবং আপনি আপনার বাড়িতে বসে থেকেই এই শ্বাসকষ্টের সমস্যার রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। তো আপনারা যেভাবে আপনাদের শ্বাসকষ্টর সমস্যা দূর করবেন তা হলঃ আপনারা ধূমপান করা থেকে বিরত থাকবেন, খুব দ্রুত ও বেশি বেশি হাঁটাচলা না করা, এবং ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন, প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন, এবং আপনি কোন কাজ করার সময় মুখে মার্কস পড়বেন ইত্যাদি।

যেগুলো কথা বললাম সেগুলো যদি মেনে চলেন তাহলে ইনশাল্লাহ এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে পারবেন। এছাড়া ও যদি খুব বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন। আশা করি হঠাৎ করে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে কি কি করণীয় তা সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণ কি

আমরা বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নেই এবং পৃথিবীর সব প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য এর শ্বাস নেয়। এখন আমাদের শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া অথবা কোন সমস্যা জনিত কারণে আয় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে এখন সেটি হতে পারে অ্যালার্জি, ফুসফুসের রোগ সমস্যা অথবা হৃদ যন্ত্রের সমস্যা কিংবা নিউমোনিয়ার হওয়ার কারণেও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে থাকে।

এমনকি স্থূলতা রোগ কিংবা যক্ষা মতো বড় রোগ ও দেখা দিতে পারে । এরপরে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং আমাদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হতে পারে। এখন এটি মূলত হয় নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এর জন্য এবং এটি সমস্যা হতে পারে কিডনির সমস্যা থাকলেও এটি দেখা দিতে পারে।
এবং কি ডিস্পানিয়া হলেও শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এটি মূলত কম বাতাস নিতে পাড়ার সমস্যাকে বলে ডিসপানিয়া এটা কোন কারণ ছাড়া হয়না এটি মূলত বড় কোন সমস্যা বা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হিসেবে। একজন সুস্থ ব্যক্তি সাধারণত এরকম শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারবেনা।

নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন

নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেন ফুসফুসে প্রবেশ করে । প্রতিটা প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস-প্রসার গ্রহণ করে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিনা দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে । আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে শ্বাসকষ্ট মানেই হচ্ছে কি হাঁপানি।, কিন্তু আবার সব শ্বাসকষ্টই হাঁপানি নয়।

  • এখন নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে এটি এলার্জি ,হৃদ যন্ত্রের সমস্যা ,ফুসফুসের রো্‌ স্থূলতা যক্ষা আরো ইত্যাদি সমস্যার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হয়। আবার যদি আমাদের শরীরে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দেখা দিলে এই নাক দিয়ে মিশিসরিতে কষ্ট হতে পারে। এবং কিডনির অসু খ হলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • আমরা নিজের আলোকে নাক দিয়ে নিশেষ নিতে কষ্ট হয় কেন তা বিষয়ে আলোচনা করব
  • এখন আপনার শরীর যদি এলার্জি হয়ে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে আবার সর্দি বা সাইনাসের সংক্রমণ হলেও নাক দিয়ে নিঃশেষ নিতে কষ্ট হতে পারে। আবার শরীরের জ্বর দেখা দিল নাক দিয়ে মিশিস নিতে কষ্ট হতে পারে
  • আর অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি ফুলে গেলে এ সমস্যা থাকলে নাক দেয় নিঃশেষ নিতে কষ্ট হতে পারে
  • আবার নাকের মধ্যে হাড়ের অস্বাভাবিক তৈরি হলে নাক দিয়ে নিশেষ নিতে কষ্ট হতে পারে
  • আবার নাকে অস্বাভাবিক গঠন দেখা দিলে নাক দিয়ে নিশ্চিন্তে কষ্ট হতে পারে
  • কিংবা টনসিলের প্রদাহ দেখা দিলে এই সমস্যাটি হতে পারে
  • নাকের ভিতরে কোন অভ্যন্তরে বাধা দেখা দিলে যেমন টিসুগুলোর বৃদ্ধি টিউমার অথবা পলিপাস হলে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
আমরা এই উপর আলোকে যে টপিক নিয়ে একটি কথা বলেছি আশা করছি সেটি আপনি পুরোপুরি জেনে গিয়েছেন এবং সেটি বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন।

শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

পেটে গ্যাস হয় অথবা পেটে গ্যাস উৎপন্ন করে এমন কোন খাদ্য খাওয়া এজমা রোগের কখনো উচিত নয় । অ্যাজমা হচ্ছে একটি ইংরেজি নাম এই শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে একে আবার আমরা বাংলায় হাঁপানি বলে থাকি । এই এক মা যাতে রয়েছে তাদের পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয়ে খাবার কখনোই খাওয়া যাবেনা আমরা হাঁপানি ভুলতে বুঝি শাসপথে বায়ু চলাচল বাধা সৃষ্টি বা শ্বাসকষ্ট।
এবং যাদের হাঁপানি রয়েছে সেসব রোগীদের জন্য খাবারের বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হয় এখন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি একজন অ্যাজমা রোগের শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে এবং অন্যদিকে এমন সবক খাওয়ারও রয়েছে সেই খাবারগুলি হাঁপানি বা অ্যাজমা বৃদ্ধি করে।

এক গবেষ ণায় দেখা গিয়েছে তাজা খাবারের পরে যে প্রক্রিয়া জাত খাবার গুলোতে গত কয়েক দশক ধরে হাঁপানের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । গবেষকদের মতে একজন ব্যক্তি যার সমস্যা রয়েছে তার তাজা ফল এবং শাকসবজি জাতীয় সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত।
বিজ্ঞানীদের মতে হাঁপানি রোগের সঙ্গে এলার্জি সম্পর্ক রয়েছে বেশিরভাগ হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীর নানা বস্তু ও খাবারে অ্যালার্জি থাকে তাই অনেক সময় তাদের দেখা যায় যে তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় যেমন ধুলোবালিতে সমস্যা হয় ঠান্ডা খাবার অথবা বাদাম কিংবা আরো নানান ইত্যাদি জিনিসে অ্যালার্জি হয়ে থাকে এর ফলে তাদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।

আমরা এই আর্টিকেলে নিচের আলোকে এই সকল বিষয়ে আলোচনা করব
যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা কখনোই আইসক্রিম ঠান্ডা দুধ ও পনির বা দই এই কোন জিনিসই খেতে পারবেন না কারণ এই জিনিসগুলি খেলে হাঁপানি রোগের সমস্যা হয় কাজে শ্বাসকষ্ট হলে ঠান্ডা দুধ দই কিংবা আইসক্রিম না খাওয়াই উচিত।

  • আর যাদের চিনা বাদাম অথবা পেস্তা বাদাম কিংবা কাজু বাদামে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এগুলো খাওয়া যাবে না গরমের প্রোটিন প্রোটিনের অনেকের এলার্জি হয়
  • আরো যাদের এলার্জির মতন সমস্যা রয়েছে তারা ডিম ডিম থেকে অ্যাভয়েড করতে পারেন এবং গরুর মাংস ইলিশ মাছ ও বেগুন আর তার সাথে মিষ্টি কুমড়া ও হাঁসের মাংস নারিকেল, কাকড়া লবস্টার, ব্লুচিস ইত্যাদি খাবারে এলার্জি হয় সেসব খাবার থেকে আপনি দূরে থাকতে পারেন কারণ এটিতে আপনার এলার্জি বৃদ্ধি করবে এবং এ থেকে আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।আর যাদের চিংড়ি মাছের এলার্জি আছে কারণ চিংড়ি মাছের।

আশা করছি উপরের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জেনে গেছেন শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা। আপনি যদি একটু এই নিয়ম গুলি মেনে চলেন তাহলে আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হবে না এবং আপনি স্বাভাবিক সুস্থ সবল থাকতে পারবেন।

শেষ কথাঃ হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আশা করি এতক্ষণে নিশ্চয় আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয় কি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণ কি, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন, শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এর সম্পর্কে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে এই হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে করণীয় কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি।

তাই আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এবং আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার বাড়ির আশপাশে যাদের নিশ্বাস কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের মাঝে শেয়ার করবেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url