জিমেইল অ্যাকাউন্ট কি - জিমেইল অ্যাকাউন্ট কিভাবে মোবাইল দিয়ে খুলে

প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি মোবাইলে জিমেইল আইডি খোলার নিয়ম নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কথা বলেছি জিমেইল অ্যাকাউন্ট কি এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট কিভাবে মোবাইল দিয়ে খুলে তা নিয়ে ।

আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন । তাহলে আপনি জিমেইল খোলা শিখে যাবেন এবং জিমেইল সম্পর্কে সকল তথ্য বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন । তাহলে চলুন বিস্তারিত শুরু করা যাক

প্রিয় পাঠক আজকেরে আটকে আমরা ইমেইল কি আর জিমেইল কি এ সম্পর্কে কথা বলেছি। এবং আমরা আরও বলে কথা বলেছি জিমেইল অ্যাকাউন্ট এর সুবিধা কি এবং নতুনদের জন্য জিমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম । আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি পড়ার পর জিমেইল একাউন্ট খুলতে শিখে যাবেন । চলুন শুরু করা যাক

ইমেইল এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic Mail) এটিকে বাংলায় বললে ইলেকট্রনিক্স চিঠি মেইলের মাধ্যমে আমরা কোন তথ্য বা ছবি আদান প্রদান ইমেইল ঠিকানায় ইলেকট্রনিকভাবে করে থাকি। ইমেল ঠিকানা যাদের রয়েছে তাদের একটি করে মেইল বক্স আছে যেটির মাধ্যমে কোন ঠিকানা থেকে মেল এসে থাকলে সেটি মিল বক্সে জমা হয় ।

 

• এবং সেটি সেই মেইলে সংরক্ষণ থাকে সে মেইলবক্স থেকে ইমেইলটি যখন ইচ্ছা খুলে পড়তে পারে। এটির মাধ্যমে আপনি বিনা পয়সায় আপনার চিঠি তথ্য বা যে কোন ছবি এক স্থান থেকে অন্যয় মেইলে পাঠাতে পারবেন। কেবলমাত্র এটি মেইলে আদান-প্রদান করায় নাই বরং আরো অনেক ক্ষেত্রে এই ইমেইল অ্যাকাউন্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
• কারণ স্মার্টফোন ইউজ ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার করে । এবং এটি করার জন্য মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার আর ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা প্রয়োজন পড়বে। কারণ আপনার ফোনে একটি ভেরিফাইড ইমেইল একাউন্ট না থাকলে সেই ফোনটিতে আপনি আপনার কোন অ্যাপ্লিকেশন অথবা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন না।
• একজন ব্যক্তির কাছে যেমন তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটি জরুরী ঠিক তেমন করে একটি পার্সোনাল ইমেইল থাকাটা খুব জরুরী। বর্তমান সময়ে ইমেইল ছাড়া অনেক ব্যবসার কথা চিন্তাও করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
• কারণ যে কোন অফিসিয়াল প্রতিষ্ঠানে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়তই ইমেইল আদান-প্রদান দরকার পড়ে । একবার তো ভুল টুল হয় ।আপনি চাইলে সামান্য কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করলে একটি ইমেইল ঠিকানা খোলা যাবে।

জিমেইল এটি একটি ইংরেজি শব্দ। বর্তমান সময়ে অনেক প্রোভাইডর খুব সহজেই ফ্রিতে ইমেইল একাউন্ট ওপেন করা যায় এবং এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হল গুগল। জিমেইলে যেসব সুবিধা গুলো রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে POP3 আর IMAP । জিমেইল ২০০৪ সালে এপ্রিল মাসে এটির বেটা সংরক্ষণ আকারে সর্বসাধারণের জন্য চালু হয়েছিল আর এর ইউজার ফ্রেন্ডলি আর বৃহৎ স্টোরেজ ক্ষমতার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

এবং এটি উন্মুক্ত হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে। এছাড়াও ইয়াহু , মাইক্রোসফ, আরো ইত্যাদি মাধ্যমে এই ফ্রিতে ইমেইল একাউন্ট তৈরি করার সুবিধা দিয়ে থাকে। জিমেইলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে গুগল ড্রাইভ এবং গুগল ক্যালেন্ডার ও রয়েছে গুগল ডক্স এবং আরও অন্যান্য গুগল পরিষেবার সাথে এর একই করণ।

আর এইটির ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ফাইল ও অ্যাপ পেমেন্ট আর ডকুমেন্ট গুলোকে তাদের ইমেইল একাউন্টের মধ্য থেকে অ্যাকসে স দেয় এবং এটিকে একটি সুবিধা জনক অল ইন ওয়ান প্রডাক্টিভিটি প্লাটফর্ম করে।

জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো সে বিষয়টি জানার আগে আমাদের জিমেইল এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে । জিমেইলের এত অধিক সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে তা দেখে হয়তো আপনি অবাক হতে পারেন । কিন্তু এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই কারণ গুগল তার মেইল সার্ভিস সেবা গ্রহণকারীদেরকে যে বিপুল পরিমাণ সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে।

সেগুলো আরো বিস্ময়কর। জিমেইলের কয়েকটি সুবিধা নিচের আলোকে উল্লেখ করা হলো

• জিমেইল আইডি আপনি খুব সহজে খুলতে পারবেন
• এবং নতুন জিমেইল আইডি খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যেই খোলা যায়
• একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মেল পাঠাতে পারবেন এবং আপনি যার কাছে মেল পাঠাবেন তার সে অনলাইনে না থাকলে তার অ্যাকাউন্টে মেইল সেন্ড হয়ে যাবে ।
• যে কোন সময় পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে থেকে ফ্রিতেই আপনি মেল পাঠাতে পারবেন ও যোগাযোগ করতে পারবেন ।
• আপনি জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে গুগলের অনেকগুলো প্রোডাক্ট সেভাবে যেমন অ্যান্ড্রয়েড, ইউটিউব,গুগল ড্রাইভ এবং গুগল শীতস, গুগল ট্রান্সলাতর,গুগল ডচস, এবং রয়েছে গুগল ম্যাপ আরো ইত্যাদি ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।
• এবং আপনি চাইলে এই ইমেইল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ফোনে যে কোন অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন । যেমন ফেসবুক, ইন্সতাগ্রাম, টুইটা্‌ দিয়ে একাউন্ট তৈরি করার জন্য জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন পড়ে। এবং আপনি আপনার জিমেইল আইডি ব্যবহার করে আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলকে সুন্দরভাবে চালাতে পারবেন।এই জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করা খুবই সহজ।

আজকেরে আর্টিকেলটির টপিক হচ্ছে নতুন জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো । আপনি চাইলে যেকোন ব্রাউজার দিয়ে আপনি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। তারপরে আপনি আপনার কাঙ্খিত ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করবেন www.gmail.com এরপর সাইন ইন নামে একটি উই জেড দেখাবে

আপনার যদি কোন আগের অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে উপরে ইমেইল অর ফোন নাম্বার ঐখানে ক্লিক করার পর আপনার ইমেইলটি দিয়ে একাউন্ট লগইন করে নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য নিচে ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করুন।

এরপরে ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করুন । তারপর আপনার সামনে আরো একটি উইজেট চলে আসবে সেটিতে লেখা থাকবে আপনার ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম সেখানে দিতে হবে । তারপরে আপনার জিমেইলের ইউজার নেম দিতে হবে মানে আপনার জিমেইলের নামটি দিতে হবে । কিন্তুক সে নামটি আপনাকে ইউনি দিতে হবে কারণ এই নামের সাথে আরও অন্য নাম ম্যাচ করলে এটি সাপোর্ট করবে না।

তাই জিমেইলের ইউজার নেম দেওয়ার সময় ইউনিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন । এবং আপনার পছন্দ মতন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবেন । এই পাসওয়ার্ডটি ইউনিক রাখার চেষ্টা করবেন যেটি আপনি মনে রাখতে পারবেন । পাসওয়ার্ড আপনার ইমেইলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনি চেষ্টা করবেন স্ট্রং পাসওয়ার্ড দেওয়ার । এবং স্ট্রং পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য।

আপনাকে সর্বনিম্ন আট সংখ্যার পাসওয়ার্ড দেওয়া লাগবে । ৮ সংখ্যার নিচে পাসওয়ার্ড দিলে এটি নিবে না । এখানে পাসওয়ার্ড দেয়ার জন্য আপনি মিক্স লেটার দিবেন কিংবা সিম্বল দিবেন আর আপনি চাইলে নাম্বার দিতে পারেন এটি দিলে পাসওয়ার্ড স্ট্রং হয়। এরপরে আপনি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর কনফার্ম পাসওয়ার্ড দিবেন।

আপনি যে পাসওয়ার্ডটি দিয়েছিলেন সেই পাসওয়ার্ডটি এখানে দেওয়া লাগবে । এরপরে নেক্সট এ ক্লিক করুন এরপরে ক্লিক করার পর আপনার সামনে মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জন্য একটি অপশন চলে আসবে সেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত নম্বরটি দিয়ে দিন । আপনি আপনার ফোন নম্বরটি দিয়ে দেওয়ার পর আপনি চাইলে রিকভারি ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন।

না দিলে কোন সমস্যা নাই এই রিকভারি ইমেইল এর কাজটি হচ্ছে আপনার ইমেইলে কোন সমস্যা হলে এই রিকভারি ইমেল দ্বারা আপনার ইমেইলটি ঠিক করা যাবে । আপনি চাইলে রিকভারি ইমেইল দিতে পারেন । এরপরে আপনার জন্ম তারিখ মাস দিন দিতে পারেন ।তারপরে নেক্সট এ ক্লিক করতে পারেন । তারপর আপনার ফোন নম্বরে একটি ভেরিফাই কোড যাবে।

আপনার ফোন নাম্বারে ৬ ডিজিট এর একটি কোড যাবে । এই কোডটি দেওয়ার ফলে আপনার জিমেইল একটিভ হয়ে যাবে । এরপরই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে ।

সম্মানিত পাঠক আপনি হয়তো এতক্ষণে এই আর্টিকেলটি পর পর বুঝতে পেরেছেন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা। আমরা এখানে আপনাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বুঝানোর। জিমেইল সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে উপকৃত থাকলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আর পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন যাতে করে তারা ও জিমেইল একাউন্ট খুলতে পারে।

আর আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার মন জয় করে থাকে তাহলে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদেরকে জানাবেন। এরকম তথ্যমূলক কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।