পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় ও ইসলামিক কথা , মেডিটেশন,

হ্যালো প্রিয় পাঠক আপনি কি একজন স্টুডেন্ট এবং আপনি কি পড়ার টেবিলে বসতে গেলে ঘুম চলে আসে অথবা পড়ার টেবিলে খেলে উদ্ভট চিন্তাভাবনা আসে, কিংবা পড়তে একদমই মন চায় না । তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতে এসেছেন।
পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় ও  ইসলামিক কথা , মেডিটেশন,

এই আর্টিকেলটিতে আমরা পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় ও ইসলামিক কথা এবং মেডিটেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তাই আজকেরে আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে । আপনার জন্য আশা করছি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন

ভূমিকা : পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় ও ইসলামিক কথা, মেডিটেশন

জ্ঞান অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে । পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর জন্য সব সময় নিজের ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোরের উপর বিশ্বাস রাখতে হয় । কিন্তু এইগুলো থাকার পরও আমাদের অনেকেরই হয়তো পড়তে বসতে মন চায় না । কিংবা পড়াশোনায় মনোযোগ বসেনা । এবং পরের টেবিলে বসলে চোখে ঘুম চলে আসে কিংবা উদ্ভট চিন্তাভাবনা আসে ।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা পড়াশোনা মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় । সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এ থেকে আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ বসার জন্য দোয়া জানতে পারবেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হচ্ছে মানুষ এবং আল্লাহতালা মানুষ জাতিকে ব্রেইনে অনেক পাওয়ার দিয়েছেন । এবং আমরা আরো জানবো পড়াশোনার মনোযোগ বসানোর জন্য মেডিটেশন অবশ্যই আমাদের শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজন ।

এবং গবেষণায় দেখা গিয়েছে । ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে । এবং আমরা এর পাশাপাশি জানবো মনোযোগ ধরে রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে যা থেকে আপনি প্রপার ধারণা পেয়ে যাবেন ।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়

জ্ঞান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব বলে দিয়েছেন । আল্লাহ তাআলা মানুষ জাতিকে ব্রেনে অনেক পাওয়ার দিয়েছেন । বক্তি এই স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আল্লাহতালা মানুষকে দোয়া এবং জিকির দিয়েছেন । যাতে করে তারা আল্লাহর কাছে বেশি চাইতে পারেন । এবং আল্লাহ তা দিতে পারেন ।
জ্ঞান বৃদ্ধির অনেক দোয়া ও আমল রয়েছে । আল্লাহতালা জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন কল্যাণকর জ্ঞান ইমল দান করেন। পড়াশোনা করা খুব সহজ কাজ নয় এটি পড়াশোনা করার জন্য চাই নিরিবিলি পরিবেশ এবং প্রচুর পরিমাণে ইচ্ছা শক্তি। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে ইচ্ছা শক্তি প্রচুর থাকলেও অনেক সময় পড়াতে মন বসে না।

তার জন্য আপনি চাইলে আমল করতে পারেন এতে করে আল্লাহ তায়ালা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিবেন। আপনার গান বৃদ্ধি করার জন্য এবং পড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আপনি এই দোয়াটি করতে পারেন ।

আল্লাহ তা'আলা বলেন: فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا


অর্থাৎ: আল্লাহ অতি মহান এবং প্রকৃত অধিপতি তোমার প্রতি কোরআনের আয়াত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে তুমি তাড়াহুড়া করে কোরআন পড়ো না। এবং বল হে আমার রব আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।

এই দোয়াটি পড়ার পর আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি হবে এবং। এটি আল্লাহতালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভি আসার পরে মুখস্ত করার ব্যাপারে ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে পড়া নির্দেশনা দিয়েছেন।
পড়ার মনোযোগ বসানোর জন্য আপনি চাইলে । এই দোয়াটি প্রতিদিন পড়তে পারেন ,এবং এই দোয়াটি পড়ার ফলে আপনার পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে । এবং এর পাশাপাশি আপনার পড়াশোনার মনোযোগ ও বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

দোয়াটি হল : রাব্বি জিদনি ইলমা

অর্থাৎঃ হে আমার প্রতিপালক । আপনি আমাকে জ্ঞান দান করুন ।

এই দোয়াটি আপনি বারবার পড়লে আল্লাহ তা'আলা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবেন এবং এই দোয়াটি করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে জ্ঞানের অবস্থাতে আল্লাহর কাছে শরণাগতিক প্রদর্শন করা ।

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য ও দুশ্চিন্তা দুঃখ থেকে বাঁচার জন্য এবং এর পাশাপাশি জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য আপনি এই দোয়াটি পড়তে পারেন

দোয়াটি হচ্ছে: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

এই দোয়াটির অর্থ হল হে আল্লাহ আমি নিশ্চয় আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা এবং দুঃখ থেকে অলসতা ও অপারগতা থেকে কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে ধনের ভার ও মানুষদের দমন পিরিন থেকে ।

এবং পড়াশোনার মনোযোগী পুরোপুরি মনোযোগী হওয়ার জন্য আপনি চাইলে এই দোয়াটি পড়তে পারেন এই দোয়াটি প্রতিদিন পড়লে আপনার উপকারে আসবে।

এই দোয়াটি হল: আল্লাহুম্মা ছাব্বিতনী ওয়াজআলনী হাদিইয়্যাম মাহদিইয়্যা।
এইতো আর অর্থটি হলো: হে আমার আল্লাহ তায়ালা, আপনি আমাকে দৃণ ুন রাখুন, ও সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং সুপ্রাপ্ত বানান ।

এবং আপনারা যদি পরীক্ষা চলে ও পরীক্ষার সফল হওয়ার জন্য দোয়া করছেন । তাহলে আপনি প্রতিদিন এই দোয়াটি পড়তে পারেন তাহলে আপনার ইনশাল্লাহ পরীক্ষাতে সফল হবেন।

দোয়াটি হচ্ছেঃ আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাইঁ ইয়াসিরা।

অর্থাৎ:হে আমার প্রতিপালক আপনি আমার পরীক্ষা সহজ করে দিন, এবং আমার পড়াশোনা নিয়ে কোন অতিমাত্রার দুশ্চিন্তা করবেন না ।

আল্লাহতালা বলে واذكر ربك إذا نسيت

এর মানে হচ্ছে যখন তোমরা ভুলে যাও তখন তোমরা আল্লাহর বেশি বেশি জিকির কর ।

পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায়। আমার অনেকেই আছি যারা পড়াশুনায় খুব অমনোযোগী। এবং পড়াশোনা করার নাম শুনলে কিংবা পড়াশোনা করতে গেলে আমাদের সকলেরই অলস অলস ভাব লাগে এবং সেই পড়াশোনায় ভালোভাবে মনোযোগ না থাকা। আপনারা কি চান কিভাবে পড়াশোনায় ভালোভাবে মনোযোগ আনা যায়।

আপনারা অনেকেই আবার ইন্টারনেটে গিয়ে পড়াশোনায় কিভাবে মনোযোগ আনা যায় তা লিখে সার্চ করেন। তো আপনি যদি এখন এ সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুঁজতে খুঁজতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে থাকেন। তাহলে ঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট আপলোড করি এবং সকল পোস্টটি সঠিক তথ্য দিয়ে থাকি।
আমার আমাদের এই পোস্টে কিভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ আনা যায় তা বলেছি। তো আপনার যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এ সম্পর্কে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে ইনশাল্লাহ আশা করি পড়াশোনায় কিভাবে মনোযোগ আনা যায় তা আপনারা সকলেই ভালোভাবে জানতে পারবেন। তো আর বেশি দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। তো পড়াশোনায় কিভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যায় এর কি কি উপায় তা নিচে হলোঃ
  • যে পড়াটি পড়বেন সেটি খুব ফোকাস দিয়ে পড়বেন।
  • পড়াশোনা করার সময় চেয়ারে বসে পড়াশোনার অভ্যাস করুন।
  • পড়াশোনার সময় কোন দিকে তাকাবেন না মাথায় আজে বাজে চিন্তা করবেন না।
  • পড়াশোনা করার সময় আপনার মোবাইল আপনার কাছ থেকে দূরে রাখুন।
  • নিরালা জায়গায় পড়াশোনা করুন, যেখানে চেঁচামেচি হয় সেখানে পড়াশোনা করা থেকে বিরত থাকুন কারণ যেখানে চেঁচামেচি কিংবা শব্দ দূষণ হয় সেখানে পড়াশোনা করলে পড়াশোনায় মনোযোগ হয় না।
  • পড়তে বসার আগে খাতা কলম যা যা লাগে তা আগে থেকেই রেডি করে পড়তে বসুন তাহলে এতে মনোযোগ আসবে।
  • আপনি কোনো ভালো পড়াশোনায় টপার ছেলেদের সঙ্গে মিশবেন এবং তার সঙ্গে সব সময় পড়াশোনার কথা বলবেন এটা আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ আস্তে অনেক সাহায্য করবে।
  • পড়াশোনা করার মাঝে কোন কিছু খাওয়া দাওয়া করবেন না পড়াশোনার মাঝে খাওয়া দাওয়া করলে এতে পড়াশুনায় মনোযোগ কমে যায়।
  • আপনি যে সাবজেক্টটি পড়বেন সেটি আপনার কাছে যতই কঠিন হোক না কেন তাও আপনি মনে করবেন সাবজেক্ট টা অনেক সহজ এতে আপনার আস্তে আস্তে করে পড়াশোনা মনোযোগ বুঝতে অনেক সাহায্য করে।
  • পড়াশোনা করার আগে পড়ার রুটিন তৈরি করতে হবে তারপর সেই রুটিন অনুযায়ী এবং সেই সময় অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে তাহলে একটু একটু করে পড়াশোনা তে মনোযোগ বসবে।
  • যেখানে আলো আছে সেই জায়গাতে পড়াশোনা করলে পড়াশোনাতে মনোযোগ বসবে। কারণ সেই আলো জায়গাতে পড়তে বসলে চোখের উপরে কম চাপ পড়বে এবং মস্তিষ্কেরও কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে।
  • যে বিষয়টি পড়বেন সেই বিষয়টি আবার খাতায় না দেখে লেখার চেষ্টা করবেন এতে আপনার অটোমেটি পড়াশোনায় মন বসে।
  • বেশি রাত ধরে জেগে থাকলে সারাদিন শরীর ক্লান্ত ও ঝিমঝিম করে এতে পড়াশোনা করতে গেলে পড়াশোনায় মন বসতে চায়না। তাই রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়া ভালো এতে আমাদের মস্তিষ্ক ভালো থাকে এবং পড়াশোনা করতে বসলে পড়াশোনায় অটোমেটিক মনোযোগ আছে।

পড়ায় মনোযোগ বসানোর মেডিটেশন

আপনি যদি খুব বেশি দুশ্চিন্তা করেন এবং। পড়াশোনাতে মন বসাতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন। নিয়মিত মেডিটেশনে আমাদের চিন্তাশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি দুটোই বাড়ি থাকে। এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি করে থাকে। এটি করার মাধ্যমে আপনার শরীর সুস্থ ভালো রাখার পাশাপাশি আপনার মন কেউ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 
এবং নিয়মিত মেডিটেশন করার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে আমাদের নির্দিষ্ট কোন বিষয় প্রকাশ করতে সাহায্য করে। আর তাই আপনি চাইলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করতে পারেন।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা পড়াশোনা চাপে নিজেকে ক্লান্তবোধ করছেন। এবং এই দুশ্চিন্তা থেকে বেরোনোর জন্য সবথেকে ভাল মাধ্যম হচ্ছে মেডিটেশন। এই মেডিটেশন করার ফলে আপনার মস্তিষ্কের ÔAMYGDALAÕ অংশের cell volume কমে যাবে। এবং এটি হলে আপনার মনে থাকা ভয় এবং উদ্ভব চিন্তা বা দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে। এবং এটির পাশাপাশি মেডিটেশন মস্তিষ্কের আলফা ওয়েভের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। যেটি থেকে আমাদের বাজে চিন্তা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবে।
  • এখন আপনার যদি পড়াশোনা করতে ভালো না লাগে। কিংবা পড়তে বসলেই পড়াই মনোযোগ বসেনা । তাহলে আপনি মনোযোগ বাড়ানোর জন্য মেডিটেশন করতে পারেন । এটি আপনি বিশ মিনিট মেডিটেশন করলে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • আপনি যদি মাত্র তিন মাস ধরে মেরিটেশন করতে পারেন । তাহলে আপনার যা উপকার হবে তা হবে । উচ্চ রক্তচাপের যে ঝুঁকি থাকবে । সেটি ৫২% কমে যাবে। এবং শরীরের ক্লান্তি ও মন ফুরফুরে রাখবে। এবং পড়াশোনায় ও অন্যান্য কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করবে। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে যারা মেডিটেশন করে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
  • আপনি যদি নিয়মিত মেডিটেশন করতে চান । তাহলে আপনাকে সবসময় এটি খেয়াল রাখতে হবে যেটি হচ্ছে । একটি খালি জায়গা অথবা একটি খালি রুম বেছে নিতে হবে। সেটি হতে পারে বাগান কিংবা বারান্দা কিংবা খালি ঘর। আবার হতে পারে খোলা ছাদ। এইসব জায়গাগুলোতে আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেডিটেশন করতে পারেন। এবং আপনারা কাঙ্খিত স্থানটিতে যে কোন কিছু কাপড় ব্যবহারের মাধ্যমে মেডিটেশন করতে পারেন।
  • পদ্মা আসনে বসুন কিংবা যেভাবে বসতে আরামদায়ক আপনি বোধ করবেন । সে ভাবে আপনি বসুন। এবং আপনার মেরুদন্ড সোজা রেখে আস্তে আস্তে গভীর নিশ্বাস নিতে শুরু করুন । এবং আপনার যাবতীয় দুশ্চিন্তা বা জাগতিক চিন্তা থেকে সেগুলো দূরে এড়িয়ে রাখুন। ও মনুসংযোগ ঠিক রেখে আপনার চিন্তা খেয়ে একটি স্থির অবস্থায় নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।
  • এবং আপনি যেদিন থেকে মেডিটেশন শুরু করবেন । সেই প্রথম দিন থেকে আপনাকে এটি খেয়াল রাখতে হবে । যে আপনার মন মনকে একবারে পুরোপুরি ধ্যানে মগ্ন করে নিতে হবে । এবং ধৈর্য কখনোই হারানো যাবে না। তাহলে এতে করে আপনার মন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ।

পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়

আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকে রয়েছেন যারা পড়তে বসার সময় পড়তে বসার মনোযোগ বসেনা পড়তে বসলেই ঘুম চলে আসে । কিংবা আগ্গবি চিন্তা মনে চলে আসে এবং কোন কিছু পড়তে গেলে তা বিরক্তিকর অনুভূতি হয় ।

বা পড়তে ভালো লাগে না এই সমস্যাটি খুব কমন বিষয় । পড়াশোনাতে মনোযোগ বসানোর জন্য মূলত শান্ত পরিবেশ এবং ইচ্ছা শক্তি থাকলে পড়াশুনাতে ভালো হওয়া যাবে । অনেক সময় এসব থাকলেও পড়াশোনাতে মনোযোগ বসেনা পড়াশোনাতে মনোযোগ বসানোর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। 
সেটি একদিন দুদিনের না হতেও পারে মানুষ চাইলে কি না পারে এই মানুষের মস্তিষ্ক দিয়ে মানুষ চাঁদে গিয়েছে এবং পিরামিড তৈরি করেছে ।এর পাশাপাশি বড় বড় রোগের প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলেছে । আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর জন্য আপনি মেডিটেশন করতে পারেন । এবং এর পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক কাজ না করে একটা কাজে থেকে ফোকাস করতে পারেন।

ও শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন । এবং প্রকৃতির মাঝেও যেতে পারেন এতে করে আপনার পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে । এই নিয়ে নিম্নের আলোকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
  • পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম একটি দেখে লক্ষ্য হবে । সেটি হচ্ছে আপনি যে জায়গাতে পড়াশোনা করছেন । সে জায়গাটা অবশ্যই মনোরম পরিবেশ আছে কিনা তা দেখতে হবে । কারণ এটির মাধ্যমে আপনার নিজের মধ্যে একটি সন্তুষ্টি বোধ কাজ করবে এর ফলে আপনার কাঙ্খিত বিষয় আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন । তাই অবশ্যই পড়াশোনা করার আগে এই সকল জায়গা গুলো নির্বাচন করুন ।
  • পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর জন্য আপনি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ।ব্যায়াম অথবা একটু হাটাহাটি কিংবা দৌড়ঝাপও করতে পারেন। এতে করে আপনার পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
  • এবং আপনাকে যদি ভালো না লাগে কিংবা পড়তে বসতে অস্বস্তি বোধ করেন । তাহলে আপনি প্রকৃতির মাঝে সবুজ বৃক্ষ মাঝখানে চলে যেতে পারেন। এতে করে মস্তিষ্ক ইতিবাচক বার্তা পাবে । আপনি চাইলে সকালে সবুজের মধ্যে হাটাহাটি করতে পারেন তাহলে এতে করে আপনার চোখেও আরাম পাবে এবং মস্তিষ্ক আরাম পেয়ে যাবে এবং আপনার মনের জোর বেড়ে যাবে ।
  • এবং একসাথে একাধিক কাজ না করে । আপনি চাইলে আপনার কাঙ্খিত কাজ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের সময় ইমেইল বা instagram অথবা ফেসবুক ব্যবহার করার কিছু সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে পারেন । আমাদের ব্রেন এখনো একসাথে একাধিক কাজ করার জন্য প্রস্তুত নহে।
  • একটানা কাজ কখনোই করতে যাবেন না ।কারণ এতে করে আপনার বিরক্তিবোধ হতে পারে । তাই একটানা কাজ না করে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সাময়িক সময়ের জন্য বিরতি নিন ।

শেষ কথা: পড়াশুনা মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় ও ইসলামিক কথা, মেডিটেশন

তো প্রিয় পাঠক। এতক্ষণে হয়তো আপনি পড়াশোনার মনোযোগ ধরে রাখার জন্য । উপরের আলোক থেকে সবগুলি বুঝে নিয়েছেন 

আশা করছি এগুলো যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে আপনার পড়াশোনা মনোযোগ ধরে রাখার সহজ হয়ে যাবে । প্রথমে হয়তো দু একদিন কষ্ট হতে পারে । তারপর আপনি চেষ্টা করে দেখবেন ।

 তাহলে এটা আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে । আজকের এই পোস্ট থেকে যদি আপনি কৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারাও পড়াশোনায় মনোযোগ রাখতে পারে এবং তারা ভাল রেজাল্ট আনতে পারে । ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url