সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪

বর্তমানে সময়ে সৌদি আরব সরকার স্টুডেন্ট ভিসা চালু করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় সৌদি আরবে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে চাই। এবং আপনি যদি সৌদি আরবে গিয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এবং আপনি যদি এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে না জানেন।

তাহলে আপনি সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিশনে যেতে পারবেন না । তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক

আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম সৌদি আরবের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবং তার সাথে আপনাকে আরো তথ্য জানা লাগবে যেগুলো হচ্ছে সৌদি আরবের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এবং সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি।

আশা করছি এই সম্পর্কে আপনাকে জানা লাগবে আপনি যদি এই তথ্যগুলি সঠিকভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিশনে পড়াশোনা করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক

সৌদি আরবে বর্তমান স্টুডেন্ট ভিসা চালু করা হয়েছে।সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা এর মানে হচ্ছে সৌদি আরবের পড়াশোনা করার জন্য অনুমতি নেওয়া বা অনুমোদন পাওয়া। এই স্টুডেন্ট ভিসাতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সৌদি আরব এগিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে । সৌদি আরবের ভিসা যারা নিতে চায় তাদের জন্য এই ভিসা জারি করা হয়।

এই স্টুডেন্ট ভিসা ধারকে ১৮০ দিন পর্যন্ত আরবে থাকার অধিকার দেয় বা অনুমতি দেয়। আমরা হয়তো সবাই জানি যে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য তারা স্টুডেন্ট ভিসা চালু করেছে। সৌদি আরব সরকার স্টুডেন্ট ভিসা পাবে এমন আরও কয়েকটি ভিসা চালু করেছে যেমন ফ্যামিলি ভিসা,ওমরা ভিসা আর ড্রাইভিং ভিসা এগুলো মূলত চালু করা হয়েছে ।

এখন আপনি যদি সৌদি আরবে গিয়ে স্টাডি করতে চান তাহলে আপনাকে সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম সৌদি আরবের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে । এখন আপনার যে কাঙ্ক্ষিত ভর্তি কৃত প্রতিষ্ঠানটির টিচার যখন আপনার স্টুডেন্ট ভিসার ইস্যু করার অনুমতি দিবে এবং তারপর সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করতে হবে ।

এরপরে আপনার ভিসাটি যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রানওয়ে থেকে অনুমোদন পায় তাহলে আপনি সৌদি আরবের কাছাকাছি দূতাপাশে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন । এরপরে আপনি সৌদি আরবে স্টুডেন্ট হিসাবে পেয়ে যাবেন ।

সৌদি আরবের শিক্ষা ব্যবস্থা । সৌদি আরবে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ এবং মাধ্যমিক সকল সরকারি শিক্ষা প্রতিটি সৌদি নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত।এটি আমরা নিচের আলোকে কয়েকটি ধাপে আলোচনা করব যে সৌদি আরবের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন আর ১০ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা আর মাধ্যমিক শিক্ষা এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা এর সকল বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি ক্লিয়ার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।

সৌদি আরবের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা

উচ্চ শিক্ষার দিক থেকে সৌদি আরব এশিয়া এবং বিশ্বের মধ্যে এক অন্যতম অবস্থানে রয়েছে । এবং সৌদি আরব আরবি এবং ইসলামিক শিক্ষা অর্জনের জন্য গোটা পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বা সৌদি আরব গোটা পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় দেশ । সৌদি আরবে যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে সেটি শুধু নাগরিকদের জন্য যে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

সেই সকল সুযোগ-সুবিধা প্রবাসীরা সাধারণত তা পায় না। এর কারণ হচ্ছে যে কে কতটা সুযোগ লাভ করবে এবং তা নির্ধারণ করবে যে সে দেশের পাসপোর্ট এবং নাগরিক । কিন্তু সে প্রবাসীদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি শিশুর পাঠ্য সূচিতে কোন ধরনের বিষয় হবে তা নির্ধারণ হয় প্রবাসীর জাতীয়তা নিয়ে ।

এবং সৌদি আরবের শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়কে এবং মূর্খ করে দেখা হয় না । সৌদি আরবের মূলত যে কারণে পাবলিক প্রাইভেট ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে তার কারণগুলো হচ্ছে সৌদি আরবের সরকার প্রবাসীদের সন্তানদের যে সকল স্কুলের মাধ্যমে এবং সেটি পরিচালিত হয় এবং কি সেটি প্রবাসীদের জাতীয়তা আর তার সঙ্গে সৌদি সরকারের জাতীয়তা শিক্ষা নীতির সমন্বয়ে।

এর কারণে মূলত। এখন এটা জানার বিষয় যে সৌদি সরকার যে সরকারি স্কুল বা কলেজ পরিচালনা করে থাকে সেটি শুধু সৌদি নাগরিকদের জন্যই । সৌদি আরবে প্রাইমারি শিক্ষার বয়স ধরা হয়ে থাকে জয় হতে ১২ বছর পর্যন্ত ।সৌদি আরবের প্রাথমিক শিক্ষা শিশুদের জন্য শুরু হয় ছয় বছর পর থেকে তখন তারা প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে। সৌদি আরবের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মূলত দিনের বেলায় পরিচালিত হয়ে থাকে ।

এবং সৌদি আরবে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে পড়ালেখা করার জন্য একটি ছয় বছর মেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শেষের সমাপনী পরীক্ষা দেওয়া লাগে । এবং তার সাথে সনদ প্রাপ্ত হতে হয় । সৌদি আরবে পরিচালিত প্রাথমিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সৌদির ছেলেমেয়েরা বিনা বেতনে পড়াশোনা করতে পারে।

 এবং যারা বিশেষ শ্রেণীর প্রবাসী তারা এই সুযোগ নিতে পারে এবং তার সঙ্গে সৌদি নাগরিক ও নিতে পারে । এক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ম ব্যতিক্রম রয়েছে এটি জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি কোরআন হিফজ শিখানো হয়ে থাকে । এতে করে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করতেও কোন সমস্যা পড়তে হয় না।

মূলত আমাদের দেশে দেখা মেলে যারা কোরান মুখস্থ করে এবং সেটি মুখস্ত করার জন্য পাঁচ থেকে ছয় বছর সাধারণ পড়াশোনা থেকে বাইরে থাকে এ কাজটি করে থাকে । এতে করে যখন তারা জেনারেল পড়াশোনা করতে চায় তখন তাদের বয়সও অনেক হয়ে যায় সেটির ফলে তাদের অনেক সমস্যার পরতে হয় ।

একটি সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৭ সালের রিপোর্ট মতে প্রাথমিক স্তরের ছাত্র এবং ছাত্রী সংখ্যা ছিল২,৪৪২,৪৮২ জন । আর তার সাথে মূলত ছাত্র সংখ্যা ছিল ২৫৫,১১৭ শিক্ষার্থীর জন এবং নারীর বা ছাত্রী ১,১৮৭,৩৬৬ । এবং কি শিক্ষকের সংখ্যা ছিল২১৭,৫৫৫ জন শিক্ষক ।

ইউনিসেফ এর তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ সালে ছেলেদের মোট ভর্তির হার ছিল ৯৯.৯ শতাংশ আর মেয়েদের ভর্তির হার ছিল ৯৬.৩ শতাংশ যেটি একত্রে করলে 98.1 শতাংশ এ দাঁড়ায় ।

সৌদি আরবের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থার দিক থেকে এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যতম অবস্থানে রয়েছে। সৌদি আরব সঠিকভাবে আরবি এবং ইসলামী শিক্ষা প্রদানের দিক থেকে বিশ্বের সবথেকে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরব শিক্ষার ক্ষেত্রে সবদিকে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান এবং সাধারণ শিক্ষার দিক দিয়েও সৌদি আরব অনেক এগিয়ে রয়েছে।

সৌদি আরবের এমনও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো বিশ্ব রাইংকিংয়ে শীর্ষ সারিতে রয়েছে যেমন পেট্রোল মিনারেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানী রিয়াদের কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব রেংকিং এর শীর্ষ প্রথম সারিতে রয়েছে। এক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে শিক্ষাক্ষেত্রের দিক দিয়ে সৌদি আরবের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা ভালো।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সৌদি আরব সবার থেকে পিছিয়ে নেই বরং পৃথিবীর সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে সুরক্ষিত ভাবে নারীদের শিক্ষা প্রদান করা হয়। যেখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী স্বাধীনতার নামে বা উন্নতি শিক্ষার নামে নির্যাতিত এবং ধর্ষিত হচ্ছে সেইদিকে আবার সৌদি আরব নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে নিয়ে এসেছে। সৌদি আরব নিশ্চিত করেছে যে নারীর নিরাপত্তা, আধুনিক উচ্চশিক্ষা এবং নারীর স্বাধীনতা।

পৃথিবীর ভিতরে সৌদি আরবেই শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা এবং পর্দার ব্যবস্থা এবং উন্নত সব আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধার সম্পন্নসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

পুরো পৃথিবীর ভিতরে শুধুমাত্র সৌদি আরবে একটি এমন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা এবং পদ্মার ব্যবস্থা রয়েছে তাছাড়া উন্নত সব আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হল প্রিন্সেস নোরা বিনতে আব্দুর রহমান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন। এটি একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মহিলাদেরকে পূর্ণাঙ্গ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রায় অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলোতে মহিলাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি আরবের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস থেকে থাকে।

এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা সৌদি আরবে গিয়ে পড়ালেখা করতে চান । তাদের জন্য সুখবর কারণ সৌদি আরব সরকার স্টুডেন্ট ভিসা টি চালু করেছে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি যে স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে করব তা নিয়ে এখন আপনি যদি সৌদি আরবে অধ্যায়ন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে একটি আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে এবং নীতিগুলি সরবরাহ করতে হবে । যেটি দেশে অধ্যায়নের জন্য আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করে থাকবে। এখন আপনি যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি জমা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার নিকটতম পড়তে এলাকার সৌদি দূতাবাস কিংবা কনসিলেন্টের প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এখন যারা সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তারা নিচের এ ধাপ গুলি দেখে নিতে পারেনঃ

• এখন আপনি যদি সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে এই https: //www.evisa.gov.md/ ওয়েবসাইট এ ক্লিক করতে হবে ।
• এরপরে আপনি প্রবেশ করার পর আবেদন করুন এই বাটনে ক্লিক করতে হবে।
• তারপরে আপনার সামনে সৌদি আরবের ভিসা আবেদন পত্র চলে আসবে এবং সেটি পূরণ করতে হবে সঠিক নিয়মে ।
• এরপরে ভিসা আবেদন কনফার্ম করা হয়ে গেলে এরপর ফ্রি পরিশোধ করতে হবে ।
• সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসার প্রক্রিয়া করা হয়ে গেলে এখন আপনাকে কিছুক্ষণ সময় দিতে হবে এই সময় লাগতে পারে ৩০ মিনিটের মতন ।
• এবং আপনি যখন এই ভিসাটি পেয়ে যাবেন তখন এটি প্রিন্ট করে নিবেন ৯০ দিনের মধ্যে আর সৌদি আরব প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এটি কে ।

আশা করছি উপরে ধাপ গুলি থেকে আপনি সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি জেনে গেছেন।

আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা চালু করা হয়েছে। আপনি কি সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে উপরে গিয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য । সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি সৌদি আরব সরকার বেশ কয়েকটি ভিসা চালু করেছে তার মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি ভিসা, ওমরাহ ভিসা ড্রাইভিং ভিসা গুলো বর্তমানে চালু করা হয়েছে আপনি চাইলে এসব সৌদিতে যেতে পারেন। এখন চলুন আমরা নিচের আলোকে জেনে নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সে সকল বিষয়ে।

• সৌদি আরব ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করার জন্য প্রথমটি হচ্ছে আবেদনকারীর কাছে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং তার পাশাপাশি পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় মাস।
• আর দ্বিতীয় ধাপটি হল সৌদি আরব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেদ্দার একটি শাখা হতে ভিসা রেফারের নোট নেওয়া লাগবে এতে করে ভিসার সংখ্যা এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারিখ উল্লেখ থাকবে।
• এবং তৃতীয় ধাপটি হচ্ছে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি দরকার
• আর চতুর্থ ধাপটি হচ্ছে আবেদনকারীর বাষকৃত হাই স্কুল ডিপ্লোমা অথবা কলেজ হতে প্রাপ্ত প্রশংসা পত্র এই জিনিসগুলো দরকার পড়বে।
• আর পঞ্চম ধাপটি হচ্ছে মেডিকেল রিপোর্ট। অবশ্যই আবেদনকারীর একটি মেডিকেল রিপোর্ট থাকা লাগবে।
• এবং ষষ্ঠ ধাপ হচ্ছে আবেদনকারীর রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি সেটির ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হবে সাদা।
• আর সপ্তম ধাপ হচ্ছে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দরকার পড়বে
• ও অষ্টম ধাপে গিয়ে তার চারিত্রিক সনদপত্র (সত্যায়িত হতে হবে)
• এবং নবম ধাপ হচ্ছে নাগরিক সনদপত্র যেটি হতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করা লাগবে।
• এবং দশম ধাপে গিয়ে আবেদনকারীর বিদ্যুৎ, পানি অথবা গ্যাসের বিলের মূল কপি এবং ফটোকপি দরকার পড়বে।
• এবং ১১ নম্বরে ধাপে গিয়ে আবেদনকারীর ১৬ বছর বয়সের নিচে হয়ে থাকলে তাহলে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হবে না।
• আর ১২ নম্বরে ধাপ টি হচ্ছে আবেদনকারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দরকার পড়বে ।

আশা করছি উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো আপনি সম্পূর্ণ পড়েছেন। এটাই আপনি সঠিকভাবে পড়ে থাকলে আপনার শুরু থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া যাওয়ার জন্য আপনার কাগজপত্র লাগবে।

সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামিক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যায়। এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী সৌদি আরবের উচ্চ শিক্ষার জন্য যায়। 

এখন কথাটা হচ্ছে সৌদি আরবে পড়াশোনার খরচ কত ?। সেটি নির্ভর করবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন অথবা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরণের উপর। এখন আপনি যদি চান যে আপনি ভালো মানের ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার ভালো খরচ বহন করতে হবে।

আর আপনি যদি চান যে একটু কম মানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে তাহলে আপনার মোটামুটি কম খরচ হবে । এখন সৌদি আরব সরকার প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার থেকে স্কলারশিপ দেয়। এবং যার সাহায্যে তারা ফ্রিতে পড়াশোনা সুযোগ পেয়ে থাকে। এখন আপনি সেটির সাহায্য নিয়ে ফ্রি পড়াশোনা করতে পারেন । এখন স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অথবা কোর্সের মেয়াদকালীন হয় তাহলে স্টুডেন্ট ভিসার মূল্য সাধারণত২,০০০ থেকে৩,০০০ রিয়াল হয়ে থাকে।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে । করে নিয়েছি যে এই তথ্যগুলো জানার পর আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার মতামত কিংবা পরামর্শ থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন । এবং এই আর্টিকেলটি যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দেবেন । আপনি যদি এই রিলেটেড আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চান তাহলে আমাদের পেজটি ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ